Home Blog Page 37

মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

0

আপনারা যারা আপনাদের মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি খুঁজছেন কিন্তু কোথাও এর সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না বা এখনো অব্দি রমজান মাসের ক্যালেন্ডার সংগ্রহ করেননি। আশা করি এই মাধ্যমে আপনাদের মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময়সূচি পেয়ে যাবেন। পবিত্র মাহে রমজান এর সারাটি মাস আমরা রোজা রাখি এবং মহান আল্লাহ তায়ালা এই রমজান মাসের রোজা আমাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। তাই এই পবিত্র রমজান মাসের ক্যালেন্ডার সেটি অবশ্যই সঠিক হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

আপনারা যারা মানিকগঞ্জ জেলায় বসবাস করছেন এবং আশেপাশের যে এলাকাগুলো আছে তাদের জন্য এই নিচের দেওয়া ক্যালেন্ডারটি প্রযোজ্য। আপনারা চাইলে এই সাইটটি থেকে প্রতিদিন ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন আপনাদের মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। 

মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

নিচে দেওয়া ক্যালেন্ডারটি বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক যে সময় ঘোষণা করেছেন সেই অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে আশা করি আপনারা সঠিক তথ্য পাবেন। সঠিক তথ্য পেয়ে থাকলে অবশ্যই আপনাদের প্রতিবেশী,বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করবেন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নিন আপনাদের মানিকগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। 

রহমতের  ১০ দিন

 তারিখ  বার   সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
২৪ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৪১ am  ৬ঃ১৬ pm
২৫ মার্চ শনিবার ৪ঃ৪০ am ৬ঃ১৭ pm
২৬ মার্চ রবিবার ৪ঃ৩৮ am ৬ঃ১৭ pm
২৭ মার্চ সোমবার ৪ঃ৩৭ am ৬ঃ১৮ pm
২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৪ঃ৩৬ am ৬ঃ১৮ pm
২৯ মার্চ বুধবার ৪ঃ৩৪ am ৬ঃ১৯ pm
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪ঃ৩৩ am ৬ঃ১৯ pm
৩১ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৩২ am ৬ঃ২০ pm
০১ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ৩০ am ৬ঃ২০ pm
০২ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ২৯ am ৬ঃ২১ pm

মাগফিরাতের ১০ দিন

 তারিখ বার  সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
০৩ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ২৮ am ৬ঃ২১ pm
০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ২৭ am ৬ঃ২২ pm
০৫ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ২৬ am ৬ঃ২২ pm
০৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ২৫ am ৬ঃ২৩ pm
০৭ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ২৪ am ৬ঃ২৩ pm 
০৮ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ২৪ am ৬ঃ২৪ pm
০৯ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ২৩ am ৬ঃ২৪ pm
১০  এপ্রিল সোমবার ৪ঃ২২ am ৬ঃ২৫ pm
১১  এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ২১ am ৬ঃ২৫ pm
১২  এপ্রিল বুধবার ৪ঃ২০ am ৬ঃ২৬ pm

নাজাতের ১০ দিন

 তারিখ বার  সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১৯ am ৬ঃ২৬ pm
১৪ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১৮ am ৬ঃ২৭ pm
১৫ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ১৭ am ৬ঃ২৭ pm
১৬ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ১৬ am ৬ঃ২৮ pm
১৭ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ১৫ am ৬ঃ২৮ pm
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ১৪ am ৬ঃ২৯ pm
১৯ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ১৩ am ৬ঃ২৯ pm
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১২ am ৬ঃ৩০ pm
২১ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১১ am ৬ঃ৩১ pm
২২ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ১০ am ৬ঃ৩১ pm

আপন মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, উক্তি ও কবিতা

0

আপন মানুষ নিয়ে অনেকে অনেক কথাই খুঁজে থাকেন। কেউ সুখের কথা কেউ আবার দুঃখের কথা, আবার কেউবা সফলতার কথা, আবার কেউ খুঁজে থাকেন অবহেলার কথা। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপন মানুষ নিয়ে নতুন কিছু উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন খুঁজে পাবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেই আপন মানুষ নিয়ে উক্তি।

আপন মানুষ নিয়ে উক্তি

> আপন মানুষগুলো যখন নিজের স্বার্থ পেয়ে ভুলে যায় তখন তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না।

> আপন মানুষগুলোর কাছ থেকে একজন কাছের মানুষ সবচেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার অধিকার রাখে।

> আপনি যাকে সারা জীবন আপন ভেবেছেন, হয়তো একদিন দেখবেন সেই আপনার পথের কাটা হয়ে দাঁড়াবে।

> এমন কিছু সময় আছে যে কাছের মানুষগুলো যদি একটু উৎসাহ দেয় তাহলে হয়তো দুনিয়ার আর কোন পরাজয় এসে আপনাকে হারাতে পারবে না।

> আপনি হয়তো আপন মানুষ ছেড়ে অন্যকে সময় দিচ্ছেন, তাদের সাথে সময় কাটাচ্ছেন, তাদেরকে সাহায্য করছেন, এর থেকে আপনি একদিন কিছু পাবেন না অবহেলা ছাড়া।

> আপন মানুষকে সময় দিন, তার সাথে সময় কাটান, সবসময় তার পাশেই থাকেন, কিছু কিছু ছোট ছোট কাজে সাহায্য করেন দেখবেন জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে গেছে।

> সবাই কিন্তু আপন মানুষ হতে পারে না, আপন মানুষগুলোর মন অনেক বড় হয় তারা শুধু সেক্রিফাইস করেই সারা জীবন কাটিয়ে দেয়।

> এই পৃথিবীতে হয়তো সবচেয়ে বেশি কষ্ট তখনই লাগে, যখন আপন মানুষগুলোই ধোঁকা দিয়ে দেয়।

> পৃথিবীটা বড়ই অদ্ভুত কারণ এই দুনিয়াতে কিছু সময় আছে যে আপন মানুষগুলো ছেড়ে অনেক দূরে থাকতে হয়। হয়তো একই দুনিয়য় বসবাস কিন্তু দূরত্বটা অনেক বেড়ে যায়।

> কিছু কিছু সময় আছে যে আপন মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করবে, কিন্তু বিশ্বাস হবে না যে এটা কি তাকে ধারা সম্ভব।

 আপন মানুষ নিয়ে স্ট্যাটাস

১. আপন মানুষ আছে বলেই হয়তো বা জীবনটা এত সুখের হয়।

২. রাগ, অভিমান, ভালোবাসা শুধু আপন মানুষদের সাথে করা সম্ভব।

৩. আপন মানুষগুলোই সত্যি কারের ভালোবাসাতে জানে।

৪. আপন মানুষগুলো তাদের কষ্ট বুকে চেপে রেখেও আপনাকে সুখের হাসি দেখাতে পারে।

৫. আপন মানুষদের সাথে অভিমান করাটাও একটা ভালবাসার ধরন যা অন্য সাধারন মানুষের সাথে সম্ভব না।

৬. আপন মানুষ অভিমান করে একটা কিছু বললে তাকে হৃদয়ে গাথা যাবে না। মুচকি হাসি দিয়ে সব উড়িয়ে দিতে হবে।

৭. খুব আপন জিনিস না হারানো পর্যন্ত মানুষ তার মূল্য বুঝতে পারে না, সেটা হারানোর পর তার যন্ত্রণা বুঝতে পারে।

৮. আপন মানুষ যে কতটা কাছের হয় তা হয়তো বোঝা যায় হারানোর পর।

আপন মানুষ নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস

* আপন মানুষ একবার হারিয়ে ফেললে তাকে আর আগের মত করে ফিরে পাওয়া যায় না।

* পর মানুষে দুঃখ দিলে মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু আপন মানুষ দুঃখ দিলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

* আপন মানুষ যখন ধোকা দিয়ে দেয়, তখন নিজেকে আর এ দুনিয়াতে রাখতে ইচ্ছা হয় না।

* আপন মানুষ যদি একবার কষ্ট দেয়, তাহলে পুরো পৃথিবীর সুখ এনে ঢেলে দিলেও হয়তো সেই কষ্টের সমান হবে না।

* হয়তোবা আপন মানুষ থাকতে তার পূর্ণতা বুঝতে পারি না, কিন্তু হারিয়ে ফেলার পর ঠিকই বোঝা যায় তার যে কি যন্ত্রনা।

* কখনো আপন মানুষকে হারিয়ে ফেলার পর বোঝা যায় যে সে কত আপন ছিল। তাই আপন মানুষকে কখনো হাতছাড়া করা উচিত নয়।

* পৃথিবী ভরা দুঃখ তখনই বুকে জমা পড়ে যখন কিনা আপন মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করে, ছুঁড়ে ফেলে দেয় অনেক দূরে।

* আপন মানুষগুলোর দেওয়া একটু কষ্টই মেনে নেওয়ার মত নয়, কারণ তার ধারা কখনো কোন কষ্ট আশা করা যায় না।

* তখনই বেশি কষ্ট লাগে যখন আপন মানুষগুলো নিজের থেকে অন্য কাউকে বেশি বিশ্বাস করে।

* একজন আপন মানুষের কাছ থেকে কেউ কখনো বড় কিছু আশা করে না, এমন কিছু ছোট ছোট জিনিস আছে যা পেয়ে সে মহা খুশি।

* আপনি একজন মানুষকে যতই আপন ভাবেন, সে যদি আপনাকে কিছুই না ভাবে তাহলে তা থেকে শুধু যন্ত্রণাই পেতে হবে।

আপন মানুষ নিয়ে ক্যাপশন

১. আপন মানুষকে যে হারায়, সেই বুঝে আপন মানুষ হারানোর কি বেদনা।

২. শুধু একবার বিপদে পড়ে দেখো দেখবে কে আপন কে পর।

৩. আপন মানুষের কাছ থেকে কেউ কখনো কোন কিছু আশা করে না, তার পাশে থাকাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরী মনে করে।

৪. একজন আপন মানুষের উপর যখন বিশ্বাস নামক জিনিসটা থাকে না, তখন তাকে আর আপন করে ভাবাই যায় না।

৫. আপন মানুষের মুখ যেন পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত, হাজারো ভিড়ের পরেও শুধু তাকেই কেন ভালো লাগে।

৬. হাজারো ভিড়ের মাঝে যখন দেখি আপন জনের মুখ তখন আর অন্য কারো আওয়াজ শোনা যায় না এই হৃদয়ে।

৭. আপন মানুষ কখনোই আপনার বিপদ দেখে পালিয়ে যাবে না, সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকবে।

৮. ভালোবাসা নামক জিনিসটা হয়তো আপন মানুষ ছাড়া কোথাও পাওয়া যায় না।

৯. একবার আপন মানুষ গুলোর মাঝে হারিয়ে দেখো, নিজেকে আর খুঁজে পাবে না।

১০. আপন মানুষের জ্বালা সেই বুঝে, যে আপন মানুষকে একবার হারিয়েছে।

সর্বশেষ কথাঃ 

আপন মানুষ নিয়ে এই প্রশ্নের মাধ্যমে যা কিছু লেখা হয়েছে যদি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালো লাগবে আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার আপন মানুষদের মাঝে। এরকম বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে এই সাইটটিতে ভিজিট করুন আশা করি এরকম আরো অনেক ভালো ভালো পোস্ট পেয়ে যাবেন।

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থানসমূহ ও প্রতিটি স্থানের বর্ণনা

0

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিভাগের উত্তরে অবস্থিত ময়মনসিংহ বিভাগ। এক সময়ের ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় জেলা ছিল এই ময়মনসিংহ বিভাগ । ময়মনসিং জেলার সকল দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ জাদুঘর, মুক্তাগাছা রাজবাড়ি, শশী লজ, ব্রক্ষপুত্র নদ, রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি, দুর্গাবাড়ি, কুমির খামার, গারো পাহাড়, ময়নাদ্বীপ, সন্তোষপুর রাবার বাগান ইত্যাদি। 

ময়মনসিংহের দর্শনীয় স্থানসমূহ

এই ময়মনসিংহ বিভাগের যে সকল ঐতিহাসিক ও পুরাতন স্থাপনা গুলো রয়েছে, সেসকল দর্শনীয় স্থানগুলোর সংক্ষিপ্ত রূপ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো নিচে লেখা হলো। 

 শশী লজ রাজবাড়ী

ময়মনসিংহ শহরের সাথেই মহারাজা শ্রীকান্ত আচার্যের বাড়ি অথবা ময়মনসিংহ রাজবাড়ী হিসেবে বর্তমানে বেশ পরিচিত। এই রাজবাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এই শশী লজ রাজবাড়ীটি ভ্রমণকারীদের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে তেমন কিছু নেই তবে বেশ পুরনো একটি স্থাপনা তাই মানুষ সেই পুরনো স্থাপনাটি দর্শন করতে সে জায়গায় অবস্থান করেন। 

ময়নাদ্বীপ

ময়মনসিংহ শহর থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে ব্রক্ষপুত্র নদী বুকে জেগে ওঠা একটি দ্বীপ বলা হয় ময়নাদ্বীপ। জায়গাটিকে সময় কাটানোর জন্য বেশ ভালো একটি জায়গা কারণ এক পাশে রয়েছে নদী আরেক পাশে রয়েছে গাছপালা, বিভিন্ন ধরনের পশু পাখির আনাগোনা, বিকেলে ফিরে আসার সময় সূর্যাস্তের যে চমৎকার একটি দৃশ্য সেটি যেন আর কোথাও পাওয়া যাবে না। 

মুক্তাগাছা রাজবাড়ি

ময়মনসিংহ থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার পশ্চিমে মুক্তাগাছা উপজেলায় ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও জামালপুর মহাসড়ক এর এক  কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে এই মুক্তাগাছা রাজবাড়ি অবস্থিত। জমিদার বাড়িটি একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি, এ জায়গাটিকে অনেকে আট আনি জমিদার বাড়ি চেনেন। 

রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি

ময়মনসিংহ জেলা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে গৌরীপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িটি যে প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তার মূল ঠিকানা আজ পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়নি যে কে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। বেশ পুরোনো এই জমিদার বাড়িটির প্রাচীন স্থাপনা ও ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে। 

বিপিন পার্ক

ময়মনসিংহ জেলার একটি পুরনো স্থাপনার মধ্যে এই বিপিন পার্ক প্রায় ২০০ বছর আগের স্থাপনা। এই পার্কটির পূর্বে তেমন কিছু দর্শনীয় স্থান ছিল না তবে বর্তমানে এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন ধরনের ঝরনা, ফুলের বাগান, সীমানা প্রাচীর, বসার ব্রাঞ্চ, আরো বিভিন্ন কিছু রয়েছে, এগুলো পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহারিক জ্ঞান সম্পন্ন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দক্ষ কৃষিবিদ, প্রাণি বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও কৃষি প্রকৌশলী তৈরি করা। 

ময়মনসিংহ জাদুঘর

এই জাদুঘর হলো বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি প্রাচীন জাদুঘর ময়মনসিংহ শহরেই অবস্থিত। এই জাদুঘরটি ময়মনসিংহের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা হিসেবে কাজ করে। জাদুঘরটিতে যেসকল জিনিসপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে সে সব জিনিসপত্র সব ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে। 

ব্রক্ষপুত্র নদ

 ভারতের সিয়ং এবং আসামের ভেতর দিয়ে রংপুরের কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে ময়মনসিংহ জেলা দিয়ে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে এই ব্রক্ষপুত্র নদীটি। এই নদীটি এশিয়া মহাদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী হলো এই ব্রক্ষপুত্র নদী। ময়মনসিংহ জেলা অন্যতম সৌন্দর্য এবং ময়মনসিংহ জেলার গর্ব এই ব্রক্ষপুত্র নদী। 

আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ি

ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আঠারো বাড়ি গ্রামে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। পূর্বে এই জায়গার নাম ছিল আঠারোবাড়ী বর্তমানে এই গ্রামের নাম শিবগঞ্জ নামে রূপান্তর হয়েছে। এই জমিদার বাড়িটি বেশ পুরনো ও প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গা, বর্তমানের একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হল এই আঠারবাড়ী জমিদার বাড়ি 

সন্তোষপুর রাবার বাগান

ময়মনসিংহের আরেকটি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গড়ে ওঠা একটি বাগান হল এই সন্তোষপুর রাবার বাগান। এই বাগানটি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা নাওগাঁও ইউনিয়নে সন্তোষপুর গ্রামে প্রায় ১০৮ একর জমির উপরে গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হচ্ছে। 

সর্বশেষ কথাঃ

ময়মনসিংহ জেলার যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে, তারমধ্যে উপরের যেসব গুলি জায়গা দেওয়া হয়েছে এগুলোই বেশি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। আশা করি উপরের যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সবকয়টি জায়গায় সঠিক তথ্য গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আরো বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থানের তথ্য এই সাইটে ভিজিট করুন। 

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ২০২৩

0

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো কানাডা, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এই দেশটিতে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার জন্য গিয়ে থাকেন। তো কানাডা মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য এগিয়ে থাকেন, কেউ হয়তোবা লেখাপড়া করার জন্য, কেউ আবার কাজ করার জন্য আবার কেউবা সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দার হওয়ার জন্য। তো যাই হোক আপনারা যারা কানাডা যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন, তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো কানাডা যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়ে জানেন না।

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে, এটি কানাডা যাওয়ার আগে সবার জানা উচিত কারণ, আপনারা যদি নাই জানেন যে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে তাহলে কিভাবে কানাডা যাবেন। তাহলে অবশ্যই ইতালি যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত যে কানাডা যেতে কত টাকা লাগতে পারে বা লাগে। তো তাহলে আর সময় নষ্ট না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক, যে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে ও কানাডার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কানাডা যেতে কত টাকা লাগে

আপনাদের যাদের কানাডা যাওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তারা অবশ্যই জানতে চাইবেন যে কানাডা যেতে কত টাকা লাগতে পারে। আসলে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করে আপনারা কানাডা কোন ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তার উপর। কানাডা যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে, তো তাহলে চলুন দেখে  নেওয়া যাক কোন ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে কত টাকা লাগে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা,

স্টুডেন্ট ভিসা,

ভিজিটর বা টুরিস্ট ভিসা ও

কৃষি ভিসা। 

তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে কানাডায় কোন কোন ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়। আপনারা দেখে নিয়েছেন যে কানাডায় কোন কোন ভিসার মাধ্যমে জানা যায়, তাহলে এখন নিচ থেকে দেখে নিন যে কোন ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে কত টাকা লাগতে পারে।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে 

আপনারা যদি ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে চান, তাহলে কানাডা যেতে সবচেয়ে বেশি টাকা লাগবে। কারণ বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তো আপনাদের যদি এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে যে কাজগুলো রয়েছে সে সকল কাজগুলোর উপর যদি অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে পারেন। বর্তমানে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বিমান ভাড়া সহ সব মিলিয়ে যেতে টাকা লাগে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তাহলে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কানাডা যেতে কি পরিমান টাকা লাগে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

যারা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন, তারা হয়তো অবশ্যই জানেন যে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যাওয়ার জন্য নিজের দেশের ইউনিভার্সিটির ভালো রেজাল্টের সার্টিফিকেট বা কানাডার কোন ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ এর মাধ্যমে কানাডা যাওয়া যায়। তো এখন জেনে নেওয়া যাক বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় মাধ্যমে বিমান ভাড়া সহ যাবতীয় সকল খরচ দিয়ে কানাডা যেতে টাকা লাগে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা এর মত।

কানাডা কৃষি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে কানাডা কৃষি ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তো আপনারা যারা এই ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই জেনে নেয়া উচিত যে এই কৃষি ভিসার জন্য কানাডা যেতে কত টাকা লাগে। এই কৃষি ভিসার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি, বর্তমানে এই কৃষি ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে টাকা লাগে  বিমান ভাড়া সহ সব কিছু মিলিয়ে প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা এর মত। আর এই ভিসার মাধ্যমে আগে যেতে টাকা লাগতো ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা এর মত। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে এই ভিসার কি পরিমান ডিমান্ড বেড়ে গেছে।

কানাডা টুরিস্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

যারা টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কানাডা যেতে চাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকে হয়তো জানেন না যে এই টুরিস্ট ভিসায় কানাডা যেতে কত টাকা লাগে এবং টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কতদিন পর্যন্ত কানাডা থাকা যায়। এই টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে কানাডা ৩-৬ মাস পর্যন্ত থাকা যায়। এবং বর্তমানে বিমান ভাড়া সহ সবকিছু মিলিয়ে কানাডা টুরিস্ট ভিসায় যেতে টাকা লাগে ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তো আশা করি যে আপনারা জানতে পেরেছেন যে টুরিস্ট ভিসায় কানাডা বর্তমানে যেতে কত টাকা লাগতে পারে।

শেষ কথাঃ

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েছেন, আশা করি কানাডা যেতে কত টাকা লাগে বা কানাডায় কোন ভিসার মাধ্যমে যেতে কত টাকা লাগে এ সকল বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তো এরকম আরো বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান সমূহ

0

সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো জায়গা, যে জায়গাতে সাধারণত মানুষ প্রায় সারা বছর ভ্রমণ করে থাকে। এই জেলার বিশেষ কিছু জায়গা আছে যেমন চায়না বাঁধ, বেলকুচি মসজিদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, মন্দির ইত্যাদি। এরকম আরো কিছু বিশেষ জায়গা আছে যেগুলোতে মানুষ ভ্রমণ করে থাকে।  

আপনারা যারা সিরাজগঞ্জ জেলার যেসব দর্শনীয় এলাকা গুলো আছে এ সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ুন এতে আপনি সকল দর্শনীয় স্থানগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই সেই দর্শনীয় স্থানগুলো। 

চায়না বাঁধ 

এই জায়গাটি সিরাজগঞ্জ জেলার শুরু হওয়া পরে যমুনা নদীর পাশেই অবস্থিত। যমুনা ব্রিজ পার হওয়ার কিছুদূর যেতেই ডান দিকের একটি রাস্তা দিয়ে ৮ কিলো দূরে অবস্থিত এই বাঁধতি। এই বাঁধের যে পরিবেশটা মনমুগ্ধকর ও দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গা। দুই পাশে নদী আর মাঝখানে এই জায়গাটি খুবই সুন্দর পরিবেশের একটি দর্শনীয় স্থান। 

বেলকুচি মসজিদ

 এই মসজিদটি সিরাজগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মসজিদটি লাখো কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই খুব সুন্দর এই মসজিদটি দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। এই মসজিদটির দিনে যেমন সৌন্দর্য, রাতের সৌন্দর্য আরো বেশি সুন্দর লাগে যেন অপরূপ সাজে সাজিত এই মসজিদটি। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাড়িটি সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত। এই বাড়িটির যে সৌন্দর্য, সেই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভ্রমণ করতে যায়। এই বাড়িটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। 

নবরত্ন মন্দির

নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুল উল্লাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত, সিরাজগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই এই মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দির স্থাপন করা হয় ১৬৬৪ সালে। মন্দিরটি স্থাপন করা হয়েছিল খুব দক্ষ কারিগর দিয়ে, এক অনন্য সাজে সাজিত একটি মন্দির এর নকশিখাতার যে কাজগুলো করা হয়েছে পোড়ামাটি ব্যবহার করে সে মনমুগ্ধকর একটি পরিবেশ করেছেন। 

যমুনা সেতু

এই সেতুটি সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত কিছুটা অংশ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে পড়েছে। এই সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় 5 কিলোমিটার এর কাছাকাছি । এই সেতুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু মধ্যে দ্বিতীয় সেতু, সেতুটি স্থাপন করা হয় হাজার ১৯৯৮ সালে। সেতুর ওপর দিয়ে উত্তরবঙ্গের সব মানুষের যাতায়াত, সেতুটি যেন অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে গাঁথা এবং কি নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক মনমুগ্ধকর পরিবেশ। 

চলন বিল

বাংলাদেশের মধ্যে সবচাইতে বড় বিল হচ্ছে এই চলন বিল। বিলটি অবশ্য তিনটি জেলার মধ্যে অবস্থিত যেমন নাটোর রাজশাহী ও পাবনা জেলায় যাই হোক সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে পড়ায় একে সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান হিসেবে বলা যায়। বিলটিতে রয়েছে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য যা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কিছু দৃশ্য মনে করিয়ে দিবে। 

শেষ কথা

সিরাজগঞ্জের আরো কিছু বিশেষ দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন বিশ্ব নেতা মজলুল জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বাড়ি, ছয়আনি পাড়া দুই গম্বুজ মসজিদ, জয়সাগর দীঘি, ইলিয়ট ব্রিজ আরও বিশেষ কিছু জায়গা আছে যা সেরাজগঞ্জ এর দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। সিরাজগঞ্জের যে সকল জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো আছে আশাকরি উপরের লেখা পোস্ট এর মধ্যেই এই সবগুলো স্থান পেয়ে যাবেন। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 

মহাবিশ্ব কাকে বলে

0

এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে যেমন ছোট ছোট ধূলিকণা থেকে শুরু করে এ দুনিয়াতে আল্লাহতালা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন আমাদের মাথার উপর আকাশ, চারিদিকে প্রকৃতি, সীমাহীন মহাকাশ এই সকল কিছু নিয়েই হচ্ছে বিশ্ব মহাবিশ্ব। আমাদের বিশ্বের অনেক দেশের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন মহাবিশ্ব নিয়ে কিন্তু এর আকার আয়তন কোন কিছুই ধারণা করা বের করা যেতে পারে না।

এই মহাবিশ্ব নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য বিজ্ঞানীরা বের করছে কিন্তু কতটা সত্য তা আসলে বলা মুশকিল। এই মহাবিশ্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। মহাকাশে রয়েছে বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু এগুলো হচ্ছে চন্দ্র, সূর্য,গ্রহ , নক্ষত্র ,ছায়াপথ , ধুমকেতু,  হীরানিকা ইত্যাদি আরো অনেক কিছু রয়েছে মহাকাশে। বিজ্ঞানীদের মতে এই মহাবিশ্বে মহাকাশে অনেক কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যা আমাদের কল্পনার বাইরে কখনো ধারণাও করিনি যে মহাবিশ্বে কি কি আছে।

মহাবিশ্ব কি

মহাবিশ্ব বলতে আসলে যে সকল তথ্য বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত দিয়েছেন তাদের মধ্যে সবারই কিছু কমন প্রশ্ন হচ্ছে যে মহাবিশ্ব এর শুরু এবং কোন শেষ নেই। মহাবিশ্ব অবিশ্বাস্যভাবে বিশাল জানি কখনো কল্পনাও করেননি। মহাবিশ্বের মধ্যে রয়েছে তারা গুলো সে তারা গুলো কত তাকেও হিসাব করতে পারবেনা। পৃথিবীর যে নক্ষত্র গুলো দেখা যায় বা অবস্থিত সেটির নাম হচ্ছে ছায়াপথ। এই ছায়াপথ বা নক্ষত্র জগতে গ্রহ ও নক্ষত্র একসাথে দলবেঁধে আছে। মহাবিশ্বের একটি অংশ হলো মহাকাশ। এই মহাবিশ্বের বিশাল জায়গায় মহাকাশের অনেক কিছু বিদ্যমান রয়েছে। 

মহাবিশ্ব কাকে বলে

জর্জ ল্যামাটার  কে আধুনিক  বিগ ব্যাঙ এর জনক বলা হয়ে থাকে বা প্রবর্তন বলা হয়। মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রচলিত তথ্যের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তথ্যটি হলো মহা বিস্ফোরণ অনেক তথ্য দিয়ে থাকেন এই জর্জ ল্য়ামাটার এই তথ্যগুলো অনেক মানুষ বিশ্বাস করেননি। তবে স্টিফেন হকিং এর পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পেছনে জোরালো যুক্তি  আছে তাই তিনি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। স্টিফেন হকিং এর যে গবেষণার তথ্যে যেসকল তথ্য পাওয়া যায় সে সকল তথ্য গুলো মানুষ খুব সহজেই বিশ্বাস করে ফেলে এর ফলে তিনি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। 

মহাবিশ্ব সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

মহাবিশ্বে আবির্ভাবের সময় কোন সময় ছিল না তাই এই মহাবিশ্বের বয়স গণনা করা হয়েছিল না। মহাবিশ্বে যখন মহা বিস্ফোরক হয় যার নাম বিগব্যাঙ বলা হয়ে থাকে। এই মহা বিস্ফোরণ হয় তারপর থেকে এই মহাবিশ্বের গণনা শুরু হয়। মহাবিশ্বের মৌলিক উপাদান হলো তিনটি

১. সৌরজগৎ

২. নক্ষত্রপুঞ্জ

৩. গ্যালাক্সি

মহাবিশ্বে রয়েছে শত শত কোটি গ্রহ, তারা, গ্যালাক্সি, নক্ষত্র হিরানিকা ইত্যাদি । মহাবিশ্বের অপরিহার্য একটি অংশ হলো শক্তি । মহাবিশ্বের যে তথ্যগুলো বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন সেটা হয়তো ওই রকম সত্য না হলেও ফালিয়ে দেওয়ার মতো কথা নয়। এ পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাবে নতুন নতুন তথ্য বের হবে। মানুষ অধিক জ্ঞানের অধিকারী মানুষের জ্ঞান কখনো হিসাব করা যায়না মহাবিশ্বের মত। মানুষের জ্ঞান হচ্ছে নগণ্য যা কখনো গণনা করা যায় না।

মহাবিশ্বের আরেকটি কণার মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা আছে এরমধ্যে ঋণাত্মক ছাড়া আর কোন অংশ বা শক্তি পাওয়া যায় না। তবে এই দুটি শক্তির যোগ করলে আমাদের ফল আসবে শুন্য । এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের মাঝে মহাবিশ্ব সম্পর্কে কতটুকু তুলে ধরতে পারলাম জানিনা। এই পোস্টের মধ্যে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং যদি পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 

পূর্ণতা নিয়ে সেরা উক্তি, স্ট্যাটাস ও কিছু কথা

0

এই দুনিয়াতে সবাই পরিপূর্ণ না কোন না কোন এক দিক থেকে অপূর্ণতা থেকেই যায়। আসলে সৃষ্টিকর্তা কাউকে পরিপূর্ণ ভাবে তৈরিই করেনি, সবাই কোন না কোন দিক দিয়ে দুর্বল থেকেই যায়। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে পুরোটা নিয়ে সেরা কিছু উক্তি স্ট্যাটাস ও কিছু কথা নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

পূর্ণতা নিয়ে উক্তি

১. পূর্ণতা পাওয়া যায় কিন্তু সেটা অন্যের সাহায্য ছাড়া সম্ভব না। 

২. পূর্ণতার একটি সংজ্ঞা হচ্ছে সুখ, যা সবার মাঝে থাকে না। 

৩. সত্যি কারের পূর্ণতা পাওয়াতে নয়, কাউকে কিছু দেওয়াতেই পূর্ণতা পাওয়া যায়। 

৪. অনেক কষ্ট, দুঃখ ও হতাশা পার করেই এক সময় পূর্ণতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। 

৫. একজন মানুষ কখনো পরিপূর্ণ হয় না, পরিপূর্ণতা পায় তার জীবনের কিছু লক্ষ্য অর্জনের মধ্যে এবং কিছু সাধনা করার মাধ্যমে। 

৬. একজন মানুষ যদি পূর্ণতা ছাড়া কিছু অর্জন করে, সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়না বরংচ সেটা ব্যর্থতার চরম একটি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। 

পূর্ণতা নিয়ে স্ট্যাটাস 

১. একজন শিক্ষক যেমন ছাত্রদেরকে তার জ্ঞান বিলিয়ে দেয়, সেই বিলিয়ে দেওয়ার মাঝে যে আত্মতৃপ্তি পায় সেটাই যেন পরিপূর্ণতা।

২. এই পৃথিবীতে সবাই পরিপূর্ণতাহীন, পূর্ণতা নিজেকে তৈরি করে নিতে হয়।

৩. পরিপূর্ণতার মালায় গাঁথা জীবন যেন এক অপূর্ণতায় ঘেরা।

৪. জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যই হলো পূর্ণতার মূল অর্থ। 

৫. অন্যের পূর্ণতা দেখে কখনো নিজে পূর্ণতা অর্জন করা যায় না। 

৬. জীবনে কষ্টের ছোয়া না পেলে হয়তো বা কেউ পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে না।

পূর্ণতা নিয়ে কিছু কথা

একজন মানুষ জীবনের সব সুখ শান্তির বিনিময়েও একটু পূর্ণতার জন্য জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত শ্রেষ্ঠা চালিয়ে যায় শুধুমাত্র একটু পূর্ণতার জন্যই। খয়ে যাওয়া গল্পের শুরুটা যেমন অপূর্ণতা থেকে শুরু হয় তেমনি তার শেষটা হয় ব্যর্থতা না হয় পূর্ণতা। অপূর্ণতা থেকেই মানুষ আশীর্বাদ গ্রহণ করে তারপর সে পূর্ণতা লাভ করে থাকে। অনেক লোক স্বপ্ন দেখে তার পূর্ণতা সফল করতে চায় কিন্তু এটা কি সম্ভব, কখনোই এটি সম্ভব না। একটা জিনিস মুখে বলা খুবই সহজ কিন্তু সেটাকে বাস্তবে বাস্তবায়ন করা বা পূর্ণতায় রূপ দেওয়া খুবই কঠিন। 

মানুষ কিন্তু মরণশীল তারপরও তার জীবনে অনেক আশা- আকাঙ্ক্ষা, পরিপূর্ণতা, চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। মানুষ ঘুমের ঘোরে আসলে যা স্বপ্ন দেখে তার পূর্ণতা কখনো সম্ভব না, যেটা মানুষ কল্পনাও করে না জীবনে তার মধ্যে সে পূর্ণতার কোন সম্ভাবনাই থাকে না, সেই কিছু সম্ভাবনাগুলো তার জীবনে পরিপূর্ণতা পায়, সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মত। কখন কার জীবনে কোন জিনিস পূর্ণতা পেয়ে যাবে তা সে হয়তো টের পাবে পূর্ণতা পাওয়ার পর, আগে সে তা কখনো ভেবেও দেখিনি।

সর্বশেষ কথাঃ 

পূর্ণতা নিয়ে যে উক্তি, স্ট্যাটাস গুলো লেখা হয়েছে যদি পরে থাকেন তাহলে আশা করি অবশ্যই ভালো লেগেছে, যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এ ধরনের আরও বিভিন্ন পোস্ট পেতে এই সাইটে ভিজিট করুন। তাহলে এরকম আরো অনেক নতুন নতুন উক্তি ও স্ট্যাটাস সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্ট পেয়ে যাবেন। এই পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 

নাটোর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

0

নাটোর জেলার সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা যারা নাটোর জেলায় বসবাস করেন তাদের জন্য এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নাটোর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। আপনারা যদি প্রতিদিনের ইফতারের সময়সূচির জন্য সঠিক সময় ও তথ্য পেতে চান তাহলে এই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। অবশ্যই রোজা রাখার জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সঠিক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

নাটোর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

নাটোর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আপনারা চাইলে প্রতিদিন ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। আশা করি সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির সঠিক সময় পাবেন। নাটোর জেলার সেহরি ও ইফতারের যে সময়সূচি সেটি নাটোর জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি এবং চাইলে শেয়ার করতে পারেন। 

রহমতের দশ দিন

রমজান 

মাস ও তারিখ 

  দিন

সেহরির সময় শেষ 

ইফতারের সময় 

০১

২৪ মার্চ

শুক্রবার

৪ঃ৪৭ am  

৬ঃ২১ pm 

০২

২৫ মার্চ

শনিবার

৪ঃ৪৬ am 

৬ঃ২১ pm 

০৩

২৬ মার্চ

রবিবার

৪ঃ৪৪ am 

৬ঃ২২ pm 

০৪

২৭ মার্চ

সোমবার

৪ঃ৪৩ am 

৬ঃ২২ pm 

০৫

২৮ মার্চ

মঙ্গলবার

৪ঃ৪২ am 

৬ঃ২৩ pm 

০৬

২৯ মার্চ

বুধবার

৪ঃ৪১ am 

৬ঃ২৩ pm 

০৭

30 মার্চ

বৃহস্পতিবার

৪ঃ৪০ am 

৬ঃ২৪ pm 

০৮

৩১ মার্চ

শুক্রবার

৪ঃ৩৯ am

৬ঃ২৪ pm 

০৯

০১ এপ্রিল

শনিবার

৪ঃ৩৮ am

৬ঃ২৫ pm 

১০

০২ এপ্রিল

রবিবার

৪ঃ৩৭ am

৬ঃ২৫ pm 

মাগফেরাতের দশ দিন 

রমজান 

মাস ও তারিখ

  দিন 

সেহরির সময় শেষ 

ইফতারের সময়

১১

০৩ এপ্রিল

সোমবার

৪ঃ৩৬ am 

৬ঃ২৬ pm 

১২

০৪ এপ্রিল

মঙ্গলবার

৪ঃ৩৬ am  

৬ঃ২৬ pm

১৩

০৫ এপ্রিল

বুধবার

৪ঃ৩৪ am  

৬ঃ২৭ pm

১৪

০৬ এপ্রিল

বৃহস্পতিবার

৪ঃ৩৩ am

৬ঃ২৭ pm

১৫

০৭ এপ্রিল

শুক্রবার

৪ঃ৩২ am

৬ঃ২৮ pm

১৬

০৮ এপ্রিল

শনিবার 

৪ঃ৩১ am

৬ঃ২৮ pm

১৭

০৯ এপ্রিল

রবিবার

৪ঃ৩০ am

৬ঃ২৯ pm

১৮

১০ এপ্রিল

সোমবার 

৪ঃ২৯ am

৬ঃ২৯ pm

১৯

১১ এপ্রিল

মঙ্গলবার 

৪ঃ২৯ am

৬ঃ৩০ pm

২০

১২ এপ্রিল 

বুধবার

৪ঃ২৮ am

৬ঃ৩০ pm

নাজাতের দশ দিন 

রমজান 

মাস ও তারিখ

  দিন 

সেহরির সময় শেষ 

ইফতারের সময় 

২১

১৩ এপ্রিল

বৃহস্পতিবার

৪ঃ২৭ am 

৬ঃ৩০ pm

২২

১৪ এপ্রিল

শুক্রবার

৪ঃ২৬ am

৬ঃ৩১ pm

২৩

১৫ এপ্রিল

শনিবার

৪ঃ২৫ am

৬ঃ৩১ pm

২৪

১৬ এপ্রিল

রবিবার

৪ঃ২৪ am

৬ঃ৩২ pm

২৫

১৭ এপ্রিল

সোমবার

৪ঃ২৩ am 

৬ঃ৩২ pm

২৬

১৮ এপ্রিল

মঙ্গলবার

৪ঃ২২ am

৬ঃ৩৩ pm

২৭

১৯ এপ্রিল

বুধবার

৪ঃ২১ am

৬ঃ৩৩ pm

২৮

২০ এপ্রিল

বৃহস্পতিবার

৪ঃ২০ am

৬ঃ৩৪ pm

২৯

২১ এপ্রিল

শুক্রবার

৪ঃ২০ am

৬ঃ৩৪ pm

৩০

২২ এপ্রিল 

শনিবার

৪ঃ১৯ am

৬ঃ৩৫ pm

 

স্বাধীনতা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ ও কবিতা

0

সকল বাঙ্গালীদের জানাই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা এবং দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে ভাই ও বোনেরা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনারা অনেকেই আছেন যারা স্বাধীনতা নিয়ে উক্তি, স্বাধীনতা নিয়ে স্ট্যাটাস, স্বাধীনতা নিয়ে ক্যাপশন ও স্বাধীনতা নিয়ে কবিতা খুঁজে থাকেন। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য, আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু নতুন নতুন উক্তি, স্ট্যাটাস, ছন্দ ও ক্যাপশন খুঁজে পাবেন। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিন স্বাধীনতা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ ও কবিতা গুলো। 

স্বাধীনতা নিয়ে উক্তি

স্বাধীনতা নিয়ে উক্তি

১. স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা সবচেয়ে কঠিন কাজ। 

২. স্বাধীনতার গোপনীয়তা হলো সাহস, যে সাহস না থাকলে কখনো স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব না। 

৩. স্বাধীনতার পক্ষে সবচেয়ে বড় হুমকি হলো সমালোচনার অনুপস্থিতি, যা স্বাধীনতার কাছে গিয়েও সে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হয় না। 

৪. স্বাধীনতা মানে হলো, নিজ স্বার্থে নয় সবাইকে নিয়ে ভাবাই হলো স্বাধীনতা। যেখানে কোন সার্থকতা কাজ করে না শুধু দেশের জন্য বা দেশের সমস্ত কিছুর জন্য স্বাধীনতা লাভ করা।

৫. স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যে ব্যক্তি মারা যায় সেই হল চির অমর ব্যক্তি যিনি কখনো মারা যান না, চিরকাল অর্থাৎ দেশ যতদিন থাকবে তাদের নাম ততদিন থাকবে স্মৃতির পাতায়।

৬. স্বাধীনতা হলো মানুষের মনের একটি খোলা জানালা যেমন মানুষের আত্মা ও মানব মর্যাদার আলো প্রবেশ করে। যেখানে মানুষ শুধু জেতার জন্যই প্রবেশ করে হারার জন্য কেউ প্রবেশ করে না। 

৭. শত্রুদের ভয়ে ঘরে বসে নয় বীরের মত লড়ে স্বাধীনতা অর্জন করা নয়তো মরে যাওয়া ভালো। 

স্বাধীনতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি 

স্বাধীনতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি 

১. মুখে বললেই স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না, স্বাধীনতার জন্য জনমত, একতা, বিশ্বাস, আন্দোলন এবং দেশের স্বার্থে জীবনকে বিলিয়ে দিতে হবে, তাহলে স্বাধীনতা অর্জন করা যাবে। 

২. আমি সমস্ত সরকারি কর্মচারীকেই অনুরোধ করছি যে, চাষী, কৃষক,কামার জেলে তাদের মত লোকদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন। 

৩. মানুষকে ভালোবেসে যদি জনগণের জন্য সাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেন তাহলে জনগণ আপনার জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারে। 

৪. আমার দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এদেশের মানুষ এবং আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা যে তাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি। 

৫. এদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আমার কোন ইচ্ছে নেই, প্রধানমন্ত্রী হলে আসবে যাবে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি সেই ভালবাসা আমি হারাতে পারবো না। 

৬. যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ না খেয়ে আছে তাহলে আমি মরেও শান্তি পাব না। 

৭. গরিবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহ তাআলার কাছে জবাব দিতে হবে, তখন কি জবাব দেবেন আপনারা। 

৮. বাংলাদেশ আছে, বাংলাদেশে থাকবে, প্রয়োজন হলে আমরা আরো রক্ত দিব তাও দেশকে এবং এ দেশের মানুষকে স্বাধীন করে ছাড়বো। 

স্বাধীনতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি 

স্বাধীনতা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের উক্তি 

* ভিক্ষা করে কখনো দেশকে স্বাধীন করা সম্ভব নয়, স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে জীবনের মায়া করা যাবে না। 

* স্বাধীনতা অর্জন করতে হলে চাই বিশ্বাস, যে বিশ্বাস হলো পাখির মত ভোরের অন্ধকারে থাকা অবস্থায় আলো অনুভব করে।

* মরিতে চাইনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই। যে দেশে আছে স্বাধীনতার স্লোগান সেখানেই যে আমি বাঁচিবার চাই। 

* চিরকালের জানা যখন এক মুহূর্তেই অজানা হয়ে যায় তখন আর সেই স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার কোন সময় থাকে না। নিজেকে তখন বিভীষিকা মনে হয়। 

* যে সুখের জন্য ব্যস্ত থাকে সে কখনো সুখ পায় না, ঠিক যেমন স্বাধীনতা। মানে হলো যে দেশকে স্বাধীন করে, সে কখনো দেশকে ভোগ করে যেতে পারে না। 

* ভক্তের দাসত্বে স্বাধীনতা আছে, ভক্তের স্বাধীন দাসত্ব তেমনি প্রকৃত থাকা প্রয়োজন। 

স্বাধীনতা নিয়ে ক্যাপশন

স্বাধীনতা নিয়ে ক্যাপশন

» স্বাধীনতার দলবদ্ধে যদি কোন দালাল অর্থাৎ দলের গোপনীয়তা প্রকাশ পায় তাহলে সে স্বাধীনতা কখনো অর্জন করা সম্ভব না।

» যে লোক অন্যের স্বাধীনতা দেখে নিজেকে স্বাধীন ভাবে সে কখনো স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবে না এবং কি তার ধারা কখনো স্বাধীনতা আসা করা যায়না। 

» সচেতন না থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই। 

» স্বাধীনতা হলো আত্মার একটি অংশ যা অর্জন করতে পারলে মরেও শান্তি পাওয়া যায়। 

» স্বাধীনতা হলো নতুন একটি পথ যেখানে অজানা কিছু মানুষ হুট করে এসে আক্রমণ করে চলে যাবে হয়তো আপনি থাকবেন নয়তো শত্রুরা থাকবে। 

» স্বাধীনতা ছাড়া একটি জীবন হল আত্মা ছাড়া শরীরের মতো, ভীতু, কাপুরুষ, বেঁচে থেকেও মৃত মানুষের মত জীবন যাপন করা। 

স্বাধীনতা নিয়ে কবিতা

স্বাধীনতা নিয়ে কবিতা

স্বাধীনতার উলঙ্গ কিশোর
নির্মলেন্দু গুণ

উলঙ্গ শিশু ও রাজপথে বেরিয়ে এসেছ ? 

সেই তুমি আর কতদিন স্বাধীনতা, স্বাধীনতা বলে,

ঘুরবে উলঙ্গ হয়ে পথে পথে সম্রাটের মতো। 

জননীর নাবি মূল থেকে ক্ষতচিহ্ন মুছে দিয়ে,

উদ্ধত হাতের মুঠোয় নেচে ওঠা ; 

বেঁচে থাকা হে আমার দুঃখ স্বাধীনতা!

তুমিও পোশাক পরো। 

ক্ষান্ত করে উলঙ্গ ভ্রমণ নয়তো আমার শরীরে থেকে,

ছিড়ে ফেলো স্বাধীনতা নামক পতাকা। 

বল উলঙ্গতা স্বাধীনতা নয়,

বল দুঃখ কোন স্বাধীনতা নয়,

বলো খুদা কোন স্বাধীনতা নয়, 

বলক ঘৃণা কোন স্বাধীনতা নয়, 

জননীর নাবি মূল ছিন্ন করা রক্তাক্ত কিশোর তুমি; 

স্বাধীনতা তুমি দীর্ঘজীবী হও। 

তুমি বেঁচে থাকো আমার অস্তিত্বে,

স্বপ্নে, অক্ষরে, শব্দে, যৌবনে ও কবিতা। 

তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা 
– শামসুর রহমান

তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা;

তোমাকে পাওয়ার জন্য,

আর কতবার ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়।

আর কতবার দেখতে হবে এদেশের মানুষের হাহাকার,

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা। 

সকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,

সিঁথির সিঁদুর গেল হরিদাসীর,

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা। 

শহরের বুকে জলপাইয়ের  রংয়ের ট্যাংক এল,

দানবের মতো চিৎকার করে।

তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা ছাত্রাবাস, বস্তি,

হয়ে গেল মাঠের মতো খালি।

তুমি আসবে বলে ছাই হলো গ্রামের পর গ্রাম,

তুমি আসবে বলে বিধ্বস্ত হল পাড়ার পুরো মহলটা।

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা,

কত অবুঝ শিশু হলো পিতা-মাতার সারা।

তোমাকে পাওয়ার জন্য এ স্বাধীনতা,

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত হলো পুড়ে ছারখার।

নতুন নিশান উড়িয়ে স্লোগান দাও,

এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে স্বাধীনতা। 

দ্রুত ওজন কমানোর উপায় এবং কি কারনে ওজন বেড়ে যায়

0

আপনি কি আপনার শরীরের ওজন নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন তাহলে আপনাকে আগে ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের শরীরের হ্রাস এবং বৃদ্ধির মূল কারণ কিন্তু খাবার। তাই আমাদের শরীরের জন্য এবং ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো খাবার হচ্ছে সুষম খাবার যেমন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, পানি জাতীয় খাবার। আপনার শরীরের জন্য পানির কোন বিকল্প কিছু নেই কারণ পানি আপনার শরীরের ভিতরের বিষাক্ত জীবাণু গুলো বের করে দেয় এবং শরীরের ফ্যাট গুলো আছে সেগুলো কমাতে সাহায্য করে। 

আমাদের শরীরকে স্বাভাবিক রাখতে আমাদেরকে তেলে ভাজা পোড়া, চিপস জাতীয় জিনিস, চর্বি জাতীয় খাবার থেকে একেবারে বিরত থাকতে হবে। আমরা অনেকেই আছি যারা অনেক টাকা খরচ করে থাকি আমাদের অতিরিক্ত ওজনের কারণে কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। অনেকে আবার অস্ত্রোপাচার করেও থাকে শরীরকে স্বাভাবিক রাখার জন্য, এতে কিন্তু আমাদের দেহের আরো ক্ষতি হয়। আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রাকৃতিক ভাবে কিছু পরামর্শ আপনাদের সাথে আলোচনা করব। 

দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

আমরা যারা আমাদের শরীর নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি বিশেষ করে তাদের জন্য এই পোষ্টটি খুব উপকারী একটি পোস্ট। আমরা আমাদের শরীরকে স্বাভাবিক রাখার জন্য কত কিছুই না করেছি, তো চলুন প্রাকৃতিক ভাবে আমরা কিছু করে দেখি আমাদের শরীরের কোন পরিবর্তন হয় কিনা তাহলে চলুন দেখে নেই কি কি করলে বা কি কি খেলে, কি কি খাবার পরিহার করলে আমাদের শরীর স্বাভাবিক রাখা যাবে। 

ব্যায়াম করা

আমাদের দেহের জন্য ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই কারণ ব্যায়াম আমাদের দেহকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে, দেহ শক্তিশালী করে, এবং কি আমাদের দেহকে ফিট রাখে। আমরা যারা মোটা শরীর নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় আছি তাদের ব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। ওজন সবচেয়ে দ্রুত কমানোর জন্য ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি কাজ। আমরা কিছু ব্যায়াম করতে পারি যেমন সাঁতার কাটা, সকাল বেলায় দৌড়নো,  সাইকেল চালানো এবং ফুটবল খেলা। এই ব্যায়াম গুলো আপনার দেহের স্বাভাবিক রাখতে খুব দ্রুত কাজ করবে। 

সুষম খাদ্য গ্রহণ করা

আমাদের দেহকে স্বাভাবিক রাখতে সুষম খাদ্য খাওয়া বেশি প্রয়োজন। এই খাবারগুলো আমাদের দেহের মাংস কোষগুলো স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং মাংসগুলো শক্তিশালী করে। সুষম খাদ্যের তালিকা আছে যেমন বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, শাকসবজি, পানি জাতীয় খাবার ইত্যাদি। আমরা ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশির ভাগ মানুষ পছন্দ করে থাকি কিন্তু এতেই লুকিয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় অসুখ যা দেহকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। তাই আমাদের দেহের জন্য বেশি বেশি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। 

কি কি কারণে ওজন বাড়তে পারে

অতিরিক্ত ঘুম পাড়া

আমরা সকলেই জানি যে আমাদের শরীরের জন্য বেশি ঘুম পাড়া ঠিক না। কারণ বেশি ঘুম পারলে আমাদের শরীরের অলসতা তৈরি হয় আর এই অলসতা থেকে আমাদের শরীর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমাদের দেহের প্রতি ২৪ ঘণ্টায় বিশ্রাম দরকার ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা, কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকি বা তার চেয়েও বেশী ঘুমিয়ে থাকি। আমাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান মত ঘুমানো উচিত তা না হলে আমাদের শরীর অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া

আমাদের দেহের জন্য চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই ঠিক না কারণ চিনিযুক্ত খাবার এর রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট এবং ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমাদের যতটা সম্ভব চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলে যাওয়াই ভালো। আমরা কিছু খাবার খাওয়ার সময় চিনিযুক্ত জিনিস বেশি ব্যবহার করে থাকি এতে খাবার একটু বেশি মজা লাগে, কিন্তু অজান্তেই আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই চিনিযুক্ত খাবার আমাদের যতটা কম খাওয়া যায় ততটাই ভালো। 

শেষ কথাঃ

বিশেষ আরেকটি কথা হল আমাদের দেহকে স্বাভাবিক রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই।  কারণ পানি আমাদের দেহকে স্বাভাবিক রাখে, আমাদের দেহের উজ্জলতা ঠিক রাখে এবং কী ভিতরের সবকিছু স্বাভাবিক রাখে। আপনারা যারা আপনাদের শরীর কমানো নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন আশা করি এই পোস্টটি পুরোপুরি পড়লে আপনাদের উপকারে আসবে। এই পোস্টটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনাদের বন্ধুদের মাঝে।  যদি আরো কোন প্রয়োজনীয় তথ্য লাগে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন তাৎক্ষণিকভাবে আপনাদের আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তথ্যগুলো দিয়ে দিব।