মহাবিশ্ব কাকে বলে

এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে যেমন ছোট ছোট ধূলিকণা থেকে শুরু করে এ দুনিয়াতে আল্লাহতালা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন আমাদের মাথার উপর আকাশ, চারিদিকে প্রকৃতি, সীমাহীন মহাকাশ এই সকল কিছু নিয়েই হচ্ছে বিশ্ব মহাবিশ্ব। আমাদের বিশ্বের অনেক দেশের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন মহাবিশ্ব নিয়ে কিন্তু এর আকার আয়তন কোন কিছুই ধারণা করা বের করা যেতে পারে না।

এই মহাবিশ্ব নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য বিজ্ঞানীরা বের করছে কিন্তু কতটা সত্য তা আসলে বলা মুশকিল। এই মহাবিশ্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। মহাকাশে রয়েছে বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু এগুলো হচ্ছে চন্দ্র, সূর্য,গ্রহ , নক্ষত্র ,ছায়াপথ , ধুমকেতু,  হীরানিকা ইত্যাদি আরো অনেক কিছু রয়েছে মহাকাশে। বিজ্ঞানীদের মতে এই মহাবিশ্বে মহাকাশে অনেক কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যা আমাদের কল্পনার বাইরে কখনো ধারণাও করিনি যে মহাবিশ্বে কি কি আছে।

মহাবিশ্ব কি

মহাবিশ্ব বলতে আসলে যে সকল তথ্য বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত দিয়েছেন তাদের মধ্যে সবারই কিছু কমন প্রশ্ন হচ্ছে যে মহাবিশ্ব এর শুরু এবং কোন শেষ নেই। মহাবিশ্ব অবিশ্বাস্যভাবে বিশাল জানি কখনো কল্পনাও করেননি। মহাবিশ্বের মধ্যে রয়েছে তারা গুলো সে তারা গুলো কত তাকেও হিসাব করতে পারবেনা। পৃথিবীর যে নক্ষত্র গুলো দেখা যায় বা অবস্থিত সেটির নাম হচ্ছে ছায়াপথ। এই ছায়াপথ বা নক্ষত্র জগতে গ্রহ ও নক্ষত্র একসাথে দলবেঁধে আছে। মহাবিশ্বের একটি অংশ হলো মহাকাশ। এই মহাবিশ্বের বিশাল জায়গায় মহাকাশের অনেক কিছু বিদ্যমান রয়েছে। 

মহাবিশ্ব কাকে বলে

জর্জ ল্যামাটার  কে আধুনিক  বিগ ব্যাঙ এর জনক বলা হয়ে থাকে বা প্রবর্তন বলা হয়। মহাবিশ্ব সম্পর্কে প্রচলিত তথ্যের মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তথ্যটি হলো মহা বিস্ফোরণ অনেক তথ্য দিয়ে থাকেন এই জর্জ ল্য়ামাটার এই তথ্যগুলো অনেক মানুষ বিশ্বাস করেননি। তবে স্টিফেন হকিং এর পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পেছনে জোরালো যুক্তি  আছে তাই তিনি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। স্টিফেন হকিং এর যে গবেষণার তথ্যে যেসকল তথ্য পাওয়া যায় সে সকল তথ্য গুলো মানুষ খুব সহজেই বিশ্বাস করে ফেলে এর ফলে তিনি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। 

মহাবিশ্ব সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

মহাবিশ্বে আবির্ভাবের সময় কোন সময় ছিল না তাই এই মহাবিশ্বের বয়স গণনা করা হয়েছিল না। মহাবিশ্বে যখন মহা বিস্ফোরক হয় যার নাম বিগব্যাঙ বলা হয়ে থাকে। এই মহা বিস্ফোরণ হয় তারপর থেকে এই মহাবিশ্বের গণনা শুরু হয়। মহাবিশ্বের মৌলিক উপাদান হলো তিনটি

১. সৌরজগৎ

২. নক্ষত্রপুঞ্জ

৩. গ্যালাক্সি

মহাবিশ্বে রয়েছে শত শত কোটি গ্রহ, তারা, গ্যালাক্সি, নক্ষত্র হিরানিকা ইত্যাদি । মহাবিশ্বের অপরিহার্য একটি অংশ হলো শক্তি । মহাবিশ্বের যে তথ্যগুলো বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন সেটা হয়তো ওই রকম সত্য না হলেও ফালিয়ে দেওয়ার মতো কথা নয়। এ পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাবে নতুন নতুন তথ্য বের হবে। মানুষ অধিক জ্ঞানের অধিকারী মানুষের জ্ঞান কখনো হিসাব করা যায়না মহাবিশ্বের মত। মানুষের জ্ঞান হচ্ছে নগণ্য যা কখনো গণনা করা যায় না।

মহাবিশ্বের আরেকটি কণার মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা আছে এরমধ্যে ঋণাত্মক ছাড়া আর কোন অংশ বা শক্তি পাওয়া যায় না। তবে এই দুটি শক্তির যোগ করলে আমাদের ফল আসবে শুন্য । এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের মাঝে মহাবিশ্ব সম্পর্কে কতটুকু তুলে ধরতে পারলাম জানিনা। এই পোস্টের মধ্যে যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং যদি পোস্টটি ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।