সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান সমূহ

সিরাজগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো জায়গা, যে জায়গাতে সাধারণত মানুষ প্রায় সারা বছর ভ্রমণ করে থাকে। এই জেলার বিশেষ কিছু জায়গা আছে যেমন চায়না বাঁধ, বেলকুচি মসজিদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, মন্দির ইত্যাদি। এরকম আরো কিছু বিশেষ জায়গা আছে যেগুলোতে মানুষ ভ্রমণ করে থাকে।  

আপনারা যারা সিরাজগঞ্জ জেলার যেসব দর্শনীয় এলাকা গুলো আছে এ সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ুন এতে আপনি সকল দর্শনীয় স্থানগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই সেই দর্শনীয় স্থানগুলো। 

চায়না বাঁধ 

এই জায়গাটি সিরাজগঞ্জ জেলার শুরু হওয়া পরে যমুনা নদীর পাশেই অবস্থিত। যমুনা ব্রিজ পার হওয়ার কিছুদূর যেতেই ডান দিকের একটি রাস্তা দিয়ে ৮ কিলো দূরে অবস্থিত এই বাঁধতি। এই বাঁধের যে পরিবেশটা মনমুগ্ধকর ও দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গা। দুই পাশে নদী আর মাঝখানে এই জায়গাটি খুবই সুন্দর পরিবেশের একটি দর্শনীয় স্থান। 

বেলকুচি মসজিদ

 এই মসজিদটি সিরাজগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মসজিদটি লাখো কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই খুব সুন্দর এই মসজিদটি দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। এই মসজিদটির দিনে যেমন সৌন্দর্য, রাতের সৌন্দর্য আরো বেশি সুন্দর লাগে যেন অপরূপ সাজে সাজিত এই মসজিদটি। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাড়িটি সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত। এই বাড়িটির যে সৌন্দর্য, সেই সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভ্রমণ করতে যায়। এই বাড়িটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারি বাড়ি। 

নবরত্ন মন্দির

নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুল উল্লাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত, সিরাজগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরেই এই মন্দিরটি অবস্থিত। মন্দির স্থাপন করা হয় ১৬৬৪ সালে। মন্দিরটি স্থাপন করা হয়েছিল খুব দক্ষ কারিগর দিয়ে, এক অনন্য সাজে সাজিত একটি মন্দির এর নকশিখাতার যে কাজগুলো করা হয়েছে পোড়ামাটি ব্যবহার করে সে মনমুগ্ধকর একটি পরিবেশ করেছেন। 

যমুনা সেতু

এই সেতুটি সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত কিছুটা অংশ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে পড়েছে। এই সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় 5 কিলোমিটার এর কাছাকাছি । এই সেতুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু মধ্যে দ্বিতীয় সেতু, সেতুটি স্থাপন করা হয় হাজার ১৯৯৮ সালে। সেতুর ওপর দিয়ে উত্তরবঙ্গের সব মানুষের যাতায়াত, সেতুটি যেন অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে গাঁথা এবং কি নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক মনমুগ্ধকর পরিবেশ। 

চলন বিল

বাংলাদেশের মধ্যে সবচাইতে বড় বিল হচ্ছে এই চলন বিল। বিলটি অবশ্য তিনটি জেলার মধ্যে অবস্থিত যেমন নাটোর রাজশাহী ও পাবনা জেলায় যাই হোক সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে পড়ায় একে সিরাজগঞ্জের দর্শনীয় স্থান হিসেবে বলা যায়। বিলটিতে রয়েছে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্য যা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কিছু দৃশ্য মনে করিয়ে দিবে। 

শেষ কথা

সিরাজগঞ্জের আরো কিছু বিশেষ দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেমন বিশ্ব নেতা মজলুল জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বাড়ি, ছয়আনি পাড়া দুই গম্বুজ মসজিদ, জয়সাগর দীঘি, ইলিয়ট ব্রিজ আরও বিশেষ কিছু জায়গা আছে যা সেরাজগঞ্জ এর দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। সিরাজগঞ্জের যে সকল জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো আছে আশাকরি উপরের লেখা পোস্ট এর মধ্যেই এই সবগুলো স্থান পেয়ে যাবেন। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।