আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা তুলে ধরবো সৌদি আরবে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কোন কাজের বেতন কত টাকা। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে সৌদি আরবে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত টাকা। অথচ আপনারা বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব গিয়ে থাকেন বা যেতে চাচ্ছেন।বর্তমান আমাদের বাংলাদেশের এমন কোন জেলা নেই যে, সেই জেলা থেকে সৌদি আরব কোন লোক থাকে না।
বাংলাদেশ থেকে যে প্রবাসী ভাইয়েরা বাইরে থাকেন, এর থেকে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বসবাস করেন সৌদি আরবে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। আপনারা হয়তো বা সৌদি আরব যাওয়ার পরে অনেকে আফসোস করে থাকেন যে যদি এই কাজের সম্পর্কে ধারণা বা অভিজ্ঞতা থাকতো। তাহলে হয়তো বা আমি আজ অনেক টাকা ইনকাম করতে পারতাম। তো যাই হোক নিচ থেকে দেখে নিন যে সৌদি আরবে বর্তমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও কোন কাজের বেতন কত টাকা।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বর্তমানে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি সেটা হয়তো আপনাদের অনেকেরই জানা নেই অথচ আপনি সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন। তো তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি যে আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন যে সৌদির বর্তমানে কোন কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি। সৌদি আরবে কোন কোন কাজের চাহিদাগুলো বেশি এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল
ড্রাইভিং, সুপার মার্কেট, ইলেকট্রিক, ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন, গ্লাস মিস্ত্রি, প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, এসি টেকনিশিয়ান ও গার্মেন্টস শ্রমিক।
তাহলে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে বর্তমানে সৌদি আরবে কোন কোন কাজের চাহিদা গুলো বেশি। আপনারা চাইলে যেকোনো একটি কাজের ভিসার ওপর যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়, কারণ বাহিরের লোকেরা অভিজ্ঞ লোকদের মূল্যায়ন বেশি করে থাকে। এটা আসলে ভালো জানেন শুধু প্রবাসী যে ভাইয়েরা আছেন তারাই।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন কত
উপরে হয়তো দেখেছেন যে বর্তমানে সৌদি আরবে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি। বেতন আসলে কাজের উপর নির্ভর করে থাকে যেমন আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে কোন কাজের উপর সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার মূল্যায়ন হবে একটু বেশি এবং যদি আপনার কাজের প্রতি অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে একটু আপনারই সমস্যা হবে সাথে একটু বেতন কম পাওয়া যাবে। তো যাই হোক তাহলে নিচ থেকে জেনে নিন সৌদি আরবের কোন কাজগুলোর বেতন কত টাকা।
সুপার মার্কেট, ড্রাইভিং, কন্সট্রাকশন ও এসি টেকনিশিয়ান এই কাজগুলোর বেতন খুবই বেশি, আর যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তো কথাই নেই। সৌদির টাকাকে বলা হয় রিয়াল, তো সেই সৌদির রিয়ালের ২,৫০০ রিয়াল থেকে ৩,৫০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশের টাকায় ৭৫,০০০ টাকা থেকে ১,১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
প্লাম্বিং, গ্লাস মিস্ত্রি, ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ও রেস্টুরেন্ট বা হোটেল এ সকল কাজে বেতন খুব বেশি না হলেও মোটামুটি ভালই। সৌদি আরবের টাকায় ১,৮০০ রিয়াল থেকে ২,২০০ রিয়াল পর্যন্ত যা বাংলাদেশের টাকায় ৫০,০০০ টাকা থেকে ৬৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। তাহলে দেখতেই পারছেন যে কোন কাজের উপর কেমন ডিমান্ড এবং বেতন কত টাকা হয়ে থাকে।
আর অন্যান্য যে কাজগুলো রয়েছে সে কাজের বেতন হচ্ছে সর্বনিম্ন বাংলাদেশি টাকার ৩০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। তো আশা করি যে আপনারা জানতে পেরেছেন যে কোন কাজের বেতন কত টাকা।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
সৌদি আরবের কিছু এমন কোম্পানি আছে যে কোম্পানিগুলোতে মানুষ যাওয়ার জন্য খুবই আগ্রহী এবং সে কোম্পানিগুলোর বেতন অনেক বেশি। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে দেখে নেই সৌদি আরবের কোন কোম্পানিগুলোর চাহিদা খুবই বেশি। বলোদিয়া, আলবাইক, আল আকসা ও আরমাকো কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলো সৌদি আরবের সবচেয়ে নামিদামি কোম্পানি যে কোম্পানিগুলোতে মানুষ যাওয়ার জন্য খুবই ইচ্ছা,আকাঙ্ক্ষা করে থাকেন।
যে কোম্পানিগুলোর নাম রয়েছে সে কোম্পানিগুলোর বেতন প্রায় বাংলাদেশি টাকার ৮০,০০০ টাকা থেকে ১,৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর যদি এই কোম্পানির গুলোর কাজের উপর আপনাদের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই।
শেষ কথা
আশা করি যে এই পোস্টটি যদি আপনারা সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন তাহলে সৌদি আরবের কাজের চাহিদা বেশি, কোন কাজের বেতন কত টাকা এবং কোন কোম্পানির বর্তমানে খুব ভালো ডিমান্ড রয়েছে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন এবং এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।