বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, বক্তব্য ও কবিতা

0
1
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, বক্তব্য ও কবিতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ উপজেলায় পাটগাতি  ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতার নাম হল শেখ লুৎফর রহমান । আপনারা অনেকে আছেন যারা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে বক্তব্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা খুজে থাকেন।

আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কিছু নতুন উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, বক্তব্য ও কবিতা খুঁজে পাবেন। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কিছু স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, বক্তব্য, কিছু কথা ও কবিতা। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে উক্তি

১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন আমি জন্মদিন পালন করি না, আমার দেশের গরীব দুঃখী মানুষের জন্য আমি জন্মদিন পালন করি। 

২. নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বকালের সবচেয়ে সাহসী নেতা। 

৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একজন সংগ্রামী প্রথম শহীদ, তাই তিনি অমর।

৪. বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তিনি গরিব-দুঃখীদের মাঝে অনেক ত্রাণ বিতরণ করতেন।

৫. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি এক ভাষণে বলেছিলেন আমি জন্মদিন পালন করি না যেভাবে আমার দেশের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে এতে জন্মই কি বা মৃত্যু কি। 

৬. হে আমার প্রিয় নেতা তোমার জন্মদিনে আলোকিত হোক বাঙালির প্রতিটি ঘর যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে সবাই। শুভ জন্মদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

৭. এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। শুভ জন্মদিন শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে স্ট্যাটাস

১. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে হয়তোবা আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। 

২. বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে তাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও বেহেস্তের সর্বত্র স্থান যেন তার হয়। 

৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে তার এক বক্তব্যে তরুণদেরকে অনুপ্রাণিত করে বলেছিলেন যে তোমরা মহান নেতা ও দেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত।

৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনের দিনগুলো বেশিরভাগ কারাগারেই কেটেছে বেশি। 

৫. ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের নির্মমভাবে হত্যা করে মেরে ফেলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। 

৬. যদি রাত পোহালেই শোনা যেত আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মরে নাই, তাহলে আমরা ফিরে পেতাম আরেকটি আদর্শ নেতা। 

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জন্মদিনের এক ঐতিহাসিক বক্তব্যে বলেছিলেন যে আমার জন্মদিন পালনের কোন প্রয়োজন নেই আমার দেশের ভাই ও বোনেরা যাতে পেট ভরে খেতে পায় এটাই আমার চাওয়া। তারা যেন পূর্ণ স্বাধীন একটি দেশ পায় এটুকুই আমার চাওয়া আমার বেশি চাওয়ার নেই আমার দেশের মানুষ যেন না খেয়ে মরে না। 

আমাদের দেশের চাষী ভাইরা যেন স্বাধীনভাবে চাষ করতে পারে তাদের ফসল ধরা ক্ষেত গুলো। আমার বাংলাদেশের ভাই ও বোনেরা শুধু চায় একটু স্বাধীনতা এই স্বাধীনতার জন্যই আজ আমার দেশের কতই না ভাই ও বোনের মৃত্যু হয়েছে, তাদেরকে কত নির্যাতন করা হয়েছে। হ্যাঁ আরো বলতে চাই মরতে যখন শিখেছি তখন আমাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না আমাদের দেশকে স্বাধীন করেই ছাড়বো ইনশাল্লাহ। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কিছু কথা

কোটি বাঙ্গালীর ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি সব কিছু হারাতে পারি, কিন্তু আমার এদেশের মানুষকে হারাতে পারবো না। এদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারবো না, আমার সবচেয়ে দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি। হাজারো বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি, ছিল নাকো তোমার কোন অভিমান তোমার মত নেতা হয়তবা শত বছরেও জন্ম নেবে না এদেশে। কোটি বাঙ্গালির স্বপ্ন তুমি, অমর হয়ে থাকবে চিরকাল আমাদের এই হৃদয়। 

জাতি আজ স্মরণ করেছে তোমায়, তোমায় জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ভালো থেকো তুমি ওপারে এই বলে তোমায় জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। হে আমাদের জাতির পিতা তুমি না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ আমরা পেতাম না, এ স্বাধীনতা আমরা পেতাম না পেতাম শুধু দুঃখ কষ্টে ভরা জীবন। এই বাংলাদেশ যতদিন আছে তুমি থাকবে চির অমর হয়ে প্রতিটি বাঙালির মাঝে। 

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন নিয়ে কবিতা 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে
অন্নদাশঙ্কর রায়

জীব হত্যা মহাপাপ তার চেয়ে বাপ আরও বড়,

করে যদি যারা তারা পুতসম বিশ্বাস ভাজন। 

জাতির জনক যিনি অতর্কিত ধারেই নিধন,

নিধন সবংশে হলে সে পাপ আরো গুরুতর। 

সারা দেশ ভাগী হয় কৃত পিতৃঘাতী সেই ঘোর পাপের; 

যদি দেয় সাধুবাদ যদি করে অপরাধ ক্ষমা।

কর্মফল দিনে দিনে বর্ষে বর্ষে হয় এর জমা,

একদা বর্ষণ বজ্ররূপে সে অভিশাপের ;

রক্ত ডেকে আনে রক্ত হানাহানি হয় যথারীতি।

শক্তি দিয়ে রোধ করা মিথ্যে মরীচিকা,

কতদিন চলবে এরকম কার্যক্রম ওরে থাম তোরা,’

জানোয়ারের দল কত মায়ের ইজ্জত নিবি আর। 

ছিন্নমস্তা দেবী যেন পান করে আপন শোণীত, 

“বাংলাদেশ! বাংলাদেশ” থেকো নাকো নিরব হয়ে;

ধিক্কারে মুখর হও হাত ধুয়ে এরাও নরক। 

সর্বশেষ কথা 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যদি আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে চান তাহলে এই সাইটটিতে ভিজিট করুন। আশা করি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও বিভিন্ন ধরনের পোস্ট এছাড়াও আরো আপনাদের প্রয়োজনীয় অনেক ধরনের পোস্ট পেয়ে যাবেন।