গ্যাস্ট্রিক এমন একটি রোগ যা আমাদের কমবেশি সকলের মধ্যেই এ রোগটি আছে। এ রোগটি বর্তমানে কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দিন দিন এর প্রভাব চলেছে কারণ আমাদের খাদ্যের যে উপাদান সেই উপাদান গুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই গ্যাস্ট্রিক রোগটি। এই পৃথিবীতে এমন কোন লোক নেই যে তার শরীরে গ্যাস্ট্রিক রোগটি নেই। গ্যাস্টিকের প্রদান কারণটি হলো শুকনো খাবার বা তৈলাক্ত খাবার এই খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয় কিন্তু এগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক।
আমরা যতটা সম্ভব শুকনো খাবার ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলার জন্য চেষ্টা করব । বিশেষ করে এখন ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগটি কমন একটি রোগ এ পরিণত হয়েছে। তাদের গ্যাস ফর্ম হচ্ছে ঠিকমত খেতে পারছে না। তো আমরা এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য যত ধরনের শুকনা খাবার এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলব। এছাড়াও আমাদের দেশের কিছু ঔষধ কোম্পানি আছে যেগুলোর ওষুধ গুলো খুবই ভালো। সেই ওষুধের কয়েকটি নাম এখানে তুলে ধরব। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেই কোন কোন ওষুধ আমাদের জন্য খুবই কার্যকরী হবে।
গ্যাস্টিকের কার্যকরী ওষুধ
আপনারা যারা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর কারণে খুব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বিশেষ করে তাদের জন্য এই ওষুধগুলো খুব বেশি ভালো হবে। তাহলে চলুন দেখি কি কি ওষুধ বর্তমানে খুব ভাল কাজ করে এবং এই ওষুধগুলোর সাইটইফেক্ট কি হতে পারে।
১. সেকলোঃ
- সেক্লো আমাদের দেশের একটি নামকরা কোম্পানির ওষুধ কোম্পানিটির নাম হচ্ছে স্কয়ার। সেকলো আপনি স্বাভাবিক ভাবে দুই বেলা খেতে পারেন এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না। বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় দেখা গেছে আজ পর্যন্ত কোনো সাইড ইফেক্ট এই ওষুধের মধ্যে পাওয়া যায়নি।
২. ম্যাক্স প্রোঃ
- ম্যাক্স প্রো ওষুধটি আপনি খেতে পারেন। এই ওষুধটি খুব ভালো কাজ করে থাকে গ্যাস্টিক এর জন্য। এই ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা যাবেনা তবে আপনি সকালে এবং রাতে খেতে পারেন। এই ঔষধে কোন সাইড ইফেক্ট নেই।
৩. লোসেকটিল
- লোসেকটিল এই ওষুধটি শুধু গ্যাস্ট্রিক এর জন্য নয় আপনার কয়েক অসুখ এর জন্য কার্যকারী যেমন ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য খুব ভালো কাজ করে থাকে। এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করা যাবেনা।
৪. ফিনিক্সঃ
- ফিনিক্স ওষুধটি আপনার গ্যাস্ট্রিক এর জন্য খুব দ্রুত দমনকারী একটি ওষুধ। আপনার গ্যাস্ট্রিক বেশিমাত্রায় হলে আপনি নিতে পারেন। এই ওষুধটির কোন সাইড ইফেক্ট নেই তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে আপনার সমস্যা হবে।
৫. রেনিটিডিনঃ
- রেনিটিডিন একটি কমন ঔষধ আমাদের সাধারণত গ্যাস্ট্রিক উঠলে আমরা এই ঔষধটি খেয়ে থাকি। তবে এর সাইট ইফেক্ট কি তা আমরা জানি না বা জানার চেষ্টাও করি না। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থার নাম এবিটিএ তারা বলেছেন রেনিটিডিন ঔষধ একটি সতর্কবার্তা আছে যে অতিরিক্ত মাত্রায় রেনিটিডিন ওষুধ সেবন করলে আপনার ক্যান্সারের ঝুকি বেড়ে যেতে পারে।
৬. ইন্টারসিটঃ
- এন্টারসিট ওষুধটি দুই ধরনের হয়ে থাকে সিরাপ এবং ট্যাবলেট। আপনি চাইলে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ওষুধ ব্যবহারের আপনি খুব ভাল ফলাফল পাবেন। এই ওষুধটি তেও কোনো সাইড ইফেক্ট নেই বললেই চলে।
তাহলে উপরের দেখা ওষুধ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ওষুধ ব্যবহারে আশা করি অবশ্যই আপনি উপকৃত হবেন। এবং এই ওষুধগুলো আপনি যদি নিয়মিত খান তাহলে গ্যাস্ট্রিক অবশ্যই আপনার কাছ থেকে বিদায় নেবে। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করব।