সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম

আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সমস্যা বললেই চলে। বর্তমানের কঠিন একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। সার্টিফিকেট একটি জীবনের অংশ বললেই চলে কারণ আপনি যাই করেন না কেন আপনার সব জায়গাতেই সার্টিফিকেট টা মাস্ট বি লাগবে। আপনি আপনার যে কোন প্রয়োজনে বা কাজে জান না কেন আপনার এই  সার্টিফিকেট সব সময় প্রয়োজন হয় । তাই সাটিফিকেট সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য বা জিনিস। তো আমরা সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য কি কি করনীয় সে ব্যাপারে জানব।

সার্টিফিকেট সংশোধনের দুইটি উপায় আছে একটি হচ্ছে অনলাইন আরেকটি হচ্ছে অফলাইন বর্তমানে সবাই অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু সংশোধন করে থাকে। অনলাইনে সংশোধন করার ব্যাপারটা খুব সহজ। যেহেতু অনলাইনের সংশোধন সিস্টেম টা অনেক সহজ এবং খুব সহজেই সংশোধন করা যায়।  তাই নিছে  অনলাইন সার্টিফিকেট সংশোধন ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দেখানো হবে। তো চলুন আর দেরি না করে দেখে নিই কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সার্টিফিকেট সংশোধন করা হয়। 

অনলাইন সংশোধনের প্রথম ধাপ

সাধারণত আমাদের নাম বা জন্মতারিখ এর মধ্যে ভুলটা বেশি হয়ে থাকে। সংশোধন করার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে এফিডেভিট করতে হবে। এবং আবেদনকারীর অবশ্যই ১৮ বছর হতে হবে।  আপনার বাবা অথবা মায়ের নামে যদি ভুল থাকে অথবা আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে যদি আপনার বাবা থাকে তাকে দিয়ে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিয়ে এবং তার বাবার স্বাক্ষর দিয়ে প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেট এর সাহায্যে এফিডেভিট করতে হবে। 

অনলাইন সংশোধনের দ্বিতীয় ধাপ

আপনার কাগজ পত্র এফিডেভিট এরপর আপনার জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সেই বিজ্ঞাপনে আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, আপনার পরীক্ষার সাল, শাখা, কেন্দ্রের নাম, রোল, বোর্ড এবং জন্মতারিখ অবশ্যই এগুলো থাকতে হবে। 

  • এরপর বিজ্ঞাপন এর পেপার কাটিং করতে হবে। 
  • আবেদনকারীর জন্ম সনদ আর যে জিনিস গুলো ভুল হয়েছে সে ভুলের বানানগুলো সঠিক করে দিতে হবে। 
  • এরপর পিতা-মাতার সার্টিফিকেট অথবা এনআইডি কার্ড দিতে হবে । যদি তাদের কোন নামের ভুল থাকে তা সংশোধন করার জন্য।   

সার্টিফিকেট সংশোধন শেষ ধাপ 

এরপর আপনার সব ডকুমেন্টস কম্পিউটার অপারেটর এগিয়ে স্ক্যান করে তারপর আপনাকে আবেদন করতে হবে।  আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার পার্সোনাল ফোন নাম্বারটি দিতে হবে। যাতে আপনার আবেদনের পর আপনার একটি মেসেজ আসে। ম্যাসেজ আসার পর আপনাকে সোনালী ব্যাংকে আবেদন ফি দিতে হবে আবেদন ফি জমা হলেই আপনার আবেদন গ্রহণ করবে বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড। 

সার্টিফিকেট সংরক্ষণ করার নিয়ম

এরপর আপনার ফি প্রদানের পর রশিদ দেওয়া হবে সেই রশিদটি আপনার যত্ন সহকারে রেখে দিতে হবে। এবং ফি প্রদানের পর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ওয়েবসাইটে আপনার প্রফাইল ক্রিয়েট হবে। আপনি সেখান থেকে দেখতে পারবেন সবকিছু যে আপনার কাজ কোন পর্যন্ত বা কাজের কি খবর। আপনার সবকিছু কমপ্লিট হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে যাবতীয় সম্পর্কে আপনি নিজে থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। এবং আপনার ফাইলটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে সেটি PDF নামের একটি ফাইলে থাকবে আপনি চাইলে আপনার গুগল ড্রাইভে রেখে দিতে পারবেন। 

আপনার যে শিক্ষাবোর্ড আছে সেই বোর্ডে গিয়ে ডকুমেন্ট গুলো দিয়ে আসবেন। তারপর আপনাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলবে আপনার শিক্ষা বোর্ড। তারপর আপনি আপনার ব্যাংকের যে রশিদ রশিদ নিয়ে গিয়ে আপনি আপনার সংশোধনীয় সার্টিফিকেট উত্তোলন করুন বা করবেন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের কতটুকু বুঝাতে পারলাম জানিনা যদি কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ভুলগুলো সঠিক করার জন্য চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।