কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান এবং ভ্রমণ গাইড

0
8

কক্সবাজার হল বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় জনপ্রিয় একটি পর্যটক এলাকা ও দর্শনীয় স্থান। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে এই সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে আসে। এই সমুদ্র সৈকতটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান

কক্সবাজারের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কলাতলী বিচ, হিমছড়ই, লাবনী বিচ, মেরিন রোড, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন ছেড়া দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ, নিভৃতে নিসর্গ পার্ক, রামু রাবার বাগান, শাহপরীর দ্বীপ আরো অনেক জায়গা রয়েছে। 

তাহলে এই জায়গাগুলোর স্থান গুলো বা কোথায় অবস্থিত কক্সবাজার শহর থেকে কত কিলোমিটার দূরে এসব বিষয়ে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করা হল। কক্সবাজারের যে বিশেষ দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু তুলে ধরা হলো। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত 

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১২০ কিলোমিটার জুড়ে এই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। এই সমুদ্র সৈকতটি বিশ্বের দীর্ঘতম ও সৌন্দর্যে ঘেরা বালুময় একটি সমুদ্র সৈকত। ঢাকা থেকে প্রায় ৪১৪ কিলোমিটার দূরে এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতপ্রতিবছর এই সৈকতটিতে লাখো মানুষের পর্যটক কেন্দ্র হচ্ছে এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।  

হিমছড়ি 

এই পর্যটক কেন্দ্রটি কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র বারো কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত। এই হিমছড়ির এক পাশে রয়েছে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য, আরেক পাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের মনকারা দৃশ্য মনে হয় এ যেন এক অজানা পৃথিবী। হিমছড়িতে একটি জলপ্রপাত রয়েছে যা এই হিমছড়ির প্রধান পর্যটক কেন্দ্র। 

কলাতলী বীচ 

এই কলাতলি বীচ কক্সবাজারের মধ্যে অবস্থিত আরেকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এই বীচটিতে রয়েছে গোসল করার সুবিধা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ও ভ্রমণ করার জন্য খুব সুন্দর জয়গা। বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা খুবই সুন্দর একটি পরিবেশে মধ্যে উপভোগ করার মত একটি বিশেষ জায়গা হল এই কলাতলী বিচ। 

সেন্টমার্টিন 

বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষ প্রান্ত কক্সবাজার হতে ১২০ কিলোমিটার এবং টেকনাফ থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ অবস্থিত। এই দ্বীপকে বলা হয় প্রবাল দ্বীপ, এই গ্রুপ থেকে মায়ানমারের উপকূলীয় দৃশ্য দেখা যায়। এই দ্বীপটির সৌন্দর্য এতটাই যে, একবার গেলে হয়তো মনে হয় যে আর না যাই ফিরে কোথাও এখানেই থেকে যায়। 

মহেশখালী

এই দ্বীপটি হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ যার নাম মহেশখালী দ্বীপ। কক্সবাজার জেলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের সাথে অবস্থিত দ্বীপটির সৌন্দর্য সম্পর্কে বলতে গেলে হয়তো কম হয়ে যাবে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না এর সৌন্দর্য কতটা অপরূপ। তিনটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই মহেশখালী দ্বীপ, দীপ গুলোর নাম হচ্ছে মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও সোনাদিয়া। 

মেরিন রোড 

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যাওয়ার মাঝখানে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোডটিকে বলা হয় মেরিন রোড। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি রোড হচ্ছে মেরিন রোড কারণ এর পাশে রয়েছে সমুদ্র সৈকত আর এক পাশে রয়েছে সবুজে ঢাকা ছোট-বড় পাহাড়, গাছপালা, নদী-নালা সব মিলিয়ে যেন এক অমায়িক শহর ঘুরে বেড়ানোর মত। 

কুতুবদিয়া দ্বীপ

কক্সবাজারের আর একটি মনোরম পরিবেশের উপজেলা হল কুতুবদিয়া উপজেলা। কক্সবাজারের পাশাপাশি উপজেলায় অবস্থিত কুতুবদিয়া দ্বীপ। এই কুতুবদিয়া দ্বীপ টি তে রয়েছে কুতুব আউলিয়ার মাজার, লবণ চাষের জন্য বিখ্যাত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সমুদ্র সৈকত ইত্যাদি। এই দ্বীপটি তে অবস্থান করতো কুতুবুদ্দিন নামের এক আউলিয়া সেই থেকে এই দ্বীপের নাম রাখা হয়েছে কুতুবদিয়া দ্বীপ। 

শাহপরীর দ্বীপ

বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিনে টেকনাফ উপজেলা সাবরাং ইউনিয়নে থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এই শাহপরীর দ্বীপ অবস্থিত। এই দ্বীপটির মানুষের প্রধান উৎস হলো মাছ ধরা এবং লবণ চাষ করা। শাহপরীর দ্বীপে রয়েছে তিনটি সমুদ্র সৈকত, এবং এই দীপ থেকে দেখা যায় মায়ানমারের অপরূপ দৃশ্য। 

রামু রাবার বাগান

কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলা এই রাবার বাগান টি অবস্থিত। রাবার বাগানের ভিতর একবার গেলে হয়তো বা সবুজ ঘাসের ভিতরে হারিয়ে যাবেন এমন মনে হবে যে প্রকৃতির সাথে মিশে গেছি, এ এক অদ্ভুত সৌন্দর্য এই রাবার বাগানের। 

সর্বশেষঃ

আশা করি বাজারের যে সকল দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সাথে, ছোট ভাই বোন অথবা বড় ভাই বোনদের সাথে শেয়ার করবেন। আরো বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থানের তথ্য পেতে আমাদের এই সাইটে ভিজিট করুন আশা করি সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here