সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা আজকে আমরা জানবো কেন আমাদের দেহের ভেতর গ্যাস্ট্রিক হয়। এই গ্যাসটির রোগ এখন এতটাই কমন হয়ে গিয়েছে যে এর জন্য মানুষ এখন আর ডাক্তারের কাছে থেকে কোন পরামর্শ নেয় না। গ্যাস্ট্রিক রোগের ডাক্তার যেন আমরা নিজেই হয়ে গিয়েছি । আমাদের দেহের পরিপাকতন্ত্র মাসে এই পরিপাকতন্ত্রের মধ্যেই সাধারণত আমাদের গ্যাস্টিক হয়ে থাকে । তবে আমরা যারা এই রোগকে কিছু মনে করি না বা অতি সাধারণ একটি রোগ হিসেবে মনে করি।আমাদের গ্যাস্ট্রিক বা বদহজম হলেই একেক জনের একেক রকম শরীরে খারাপ লাগা শুরু করে যেমন গলা জ্বালাপোড়া করা, অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া, বুকে ব্যথা বা পেটে ব্যথা, আবার কখনো মাথা ব্যাথা শুরু হয়।
পরিপাকতন্ত্রে খাদ্য হজমের এই প্রক্রিয়া ই রোগটিও বড় আকার ধারণ করতে পারে যেমন গ্যাসফর্ম যদি হয় তাহলে আপনার খাদ্যনালী ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে আমাদের দেহে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়, রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। তাই আমরা এই রোগটিকে কখনো ছোট মনে করবো না । এই গ্যাস্ট্রিক থেকে বিভিন্ন বড় বড় রোগ আমাদের ভিতরে বাসা বাঁধতে থাকে। তাহলে আমরা দেখে নেই কি কি কারণে আমাদের গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক হওয়ার কারণ কি
আমাদের শরীরে যেসব খাবার খেলে বা যেসব বদ অভ্যাস হলে হতে পারে আমাদের ভিতরে গ্যাস্টিকের প্রচুর চাপ।
- অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া।
- অতিরিক্ত মসলাদার জাতীয় খাবার খাওয়া বা বেশি ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া।
- বিড়ি, সিগারেট বা খুব বেশি অ্যালকোহল পান করা।
- রাত বেশি হওয়ার পর ঘুমানো এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা বা সকালে দেরি করে নাস্তা করা।
- পানি জাতীয় খাবার কম খাওয়া বা পানি পান করা কম হলে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে বা কোন বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়া।
- অতিরিক্ত শুকনা খাবার খাওয়া।
তাহলে আমরা উপরের দেখা কিছু বদ অভ্যাস এবং কিছু ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য আমাদের এই গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে বা হয়ে থাকে। আবার আমরা যে খাবারগুলো খাই সে খাবার গুলো ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া উচিত তা না হলে খাবার গুলো ভালোভাবে হজম হয়না ফলে আমাদের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
আরেকটি বিশেষ কথা হচ্ছে আমাদের যে পাকিস্থলি আছে তার তিন ভাগের এক ভাগ খাবার খাওয়া উচিত এবং এক ভাগ পানি খাওয়া উচিত আরেক ভাগ খালি রাখা উচিত। তা না হলে আপনার গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খাবার খাওয়ার পর অন্তত কয়েক মিনিট হাঁটা উচিত যাতে করে খাবারগুলোর ভালোভাবে পাকিস্থলিতে বসে যায় এতে আপনার পেটে গ্যাস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না ।
তাহলে আমরা উপরের দেখা পোষ্টের মাধ্যমে যে সকল নিয়ম কারণ না মানা বা যে সকল বাজে খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে বা হয়। এসকল বাজে অভ্যাস বাজে খাবার দাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই পোস্টের মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।