টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা এবং অসুবিধা

0
6

টিন সার্টিফিকেট বর্তমানে মোটামুটি সব কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে অফিস-আদালতে ব্যাংকে আপনি যেখানেই যান না কেন মোটামুটি সব জায়গাতেই এই সার্টিফিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সার্টিফিকেট। সবকিছুর ক্ষেত্রে ভালো এবং মন্দ দুটোই কাজ করে এবং দুটো সাইট থাকে এক্সাইড ভালো অন্য সাইট একটা মন্দ সবক্ষেত্রে । আমরা আজকে জানবো টিন সার্টিফিকেট সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে অসুবিধার থেকে সুবিধার  দিকটাই বেশি মনে করি ।

বিশেষ করে আপনার যে টিন সার্টিফিকেট থাকা মানেই আপনি দেশের একজন গর্বিত করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হবেন আপনার টাকা গুলো সুরক্ষিত থাকা মানেই টিন সার্টিফিকেট। তাহলে আর দেরি না করে আমরা আমাদের মূল বিষয় গুলোর দিকে এগিয়ে যায় দেখা যাক কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে এ টিন সার্টিফিকেট। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হবেন পোষ্ট টি পড়ে  আপনার কাজেই  আসবে বৃথা যাবে না। 

টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা 

আগেই বলে এসেছি টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা আপনার এবং দেশের জন্য ভালো টিন সার্টিফিকেট থাকা মানে আপনার টিন সার্টিফিকেট দিয়ে বা আয়কর দিয়ে আপনার দেশ চলবে। যেমন আপনার সুবিধা গুলো হচ্ছে ব্যাংকে জমাকৃত টাকার মধ্য থেকে আপনার প্রতি বছর ৬ মাস পরপর সরকার  ট্যাক্স গ্রহণ করে সেই ট্যাক্স হতে আপনার যদি টিন সার্টিফিকেট থাকে তাহলে ১০% আয়কর প্রদান করতে হবে তা না হলে আপনাকে ১৫% আয়কর দিতে হবে।

এছাড়া আরো কিছু নিয়ম আছে যেমন আপনি যদি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন বা ক্রেডিট কার্ড নিতে চান বা ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার টিন সার্টিফিকেট লাগবে টিন সার্টিফিকেট ছাড়া তো সম্ভব না বা এগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিভিন্ন সময় সরকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বা ফান্ড থেকে অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও আপনাকে টিন সার্টিফিকেট থাকা বেশি জরুরী বা টিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক থাকতে হবে তা না হলে আপনি ওই সুবিধাগুলি নিতে পারবেন না বা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন।

টিন সার্টিফিকেট এর অসুবিধা

টিন সার্টিফিকেট এর অসুবিধা হচ্ছে আপনার যথেষ্ট পরিমাণ আয় থাক বা না থাক আপনাকে বছর শেষে অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট এর পর বাচ্চার সেটি আপনাকে গুনতে হবে । এবং আপনার হুট করে ইনকাম বেড়ে গেল যাওয়ার পর যদি আপনি টিন সার্টিফিকেট এর চার্জ বিল পরিশোধ না করেন তাহলে আপনার যে ইনকাম টা আসবে সে ইনকাম টা হবে ব্ল্যাক মানি বা কালো টাকা হিসেবে গণ্য হবে। 

বিশেষ আরেকটি তথ্য হচ্ছে যদি আপনি টিন সার্টিফিকেট এর পরপর তিন বছর করযোগ্য আয় শূন্য হয় বা বাৎসরিক আয়ের এর সমীকরণ এর মধ্যে না আসে বা আয়করের যে নির্দিষ্ট একটি বাজেট থাকে সে বাজেট অনুযায়ী যদি আপনার আর না হয় তাহলে চতুর্থবার আপনার আয়করের চার্জ না দিলেও চলবে। 

তাহলে বুঝতে পারছেন টিন সার্টিফিকেট এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো রয়েছে জানিনা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের কতটুকু বুঝাতে পারলাম না আপনারা কতটুকু বুঝতে পারলেন। তাহলে বুঝতে পারলাম যে অসুবিধার থেকে সুবিধার দিক গুলোই বেশি তাহলে টিন সার্টিফিকেট আমাদের জন্য বিশেষ প্রয়োজন কেননা যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময় কাজে আসতে পারে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here