Home Blog Page 41

পাবনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

0

সুপ্রিয় পাবনা জেলার সকল মুসল্লী ভাই ও বোনদের জানাই পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা। পাবনা জেলার যে সকল ভাই ও বোনেরা আপনাদের পাবনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি খুঁজছেন। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের পাবনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি পাবেন। আমরা জানি যে সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করা সুন্নত, তাই আমরা সবাই চাই যে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে যেন ইফতার বা সেহরি করতে পারি।

আমাদের এই বাংলাদেশ হচ্ছে মুসলিম প্রধান দেশ তাই রোজার মাসে আমরা অনেক আনন্দ, ফুর্তি এবং নামাজ, রোজা করে থাকি। তাই পাবনা জেলার যে সকল লোক এখনো আপনারা আপনাদের জেলার ইফতারের সময়সূচি পাননি তারা এই পোষ্টের নিচে থেকে দেখে নিন আপনাদের সঠিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। 

পাবনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

পাবনা জেলার অনেক ভাই ও বোনেরা আছেন যারা কর্মব্যস্ততার কারণে পরিবারের বা আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে ইফতার করতে পারেন না বাহিরে কর্মব্যস্ততার ফাঁকেই ইফতার সেরে নিতে হয়। আপনারা চাইলে এই সাইটটি থেকে প্রতিদিন ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন আপনাদের পাবনা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। এবং চাইলে আপনারদের প্রতিবেশি বা আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।  

রহমতের  ১০ দিন

মাস ও তারিখ  বার সেহরির সময় শেষ   ইফতারের সময়
২৪ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৪৪ am  ৬ঃ১৯ pm
২৫ মার্চ শনিবার ৪ঃ৪৩ am ৬ঃ২০ pm
২৬ মার্চ রবিবার ৪ঃ৪১ am ৬ঃ২০ pm
২৭ মার্চ সোমবার ৪ঃ৪০ am ৬ঃ২১ pm
২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৪ঃ৩৯ am ৬ঃ২১ pm
২৯ মার্চ বুধবার ৪ঃ৩৮ am ৬ঃ২২ pm
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪ঃ৩৭ am ৬ঃ২২ pm
৩১ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৩৬ am ৬ঃ২৩ pm
০১ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ৩৫ am ৬ঃ২৩ pm
০২ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ৩৪ am ৬ঃ২৪ pm

মাগফিরাতের  ১০ দিন

মাস ও তারিখ  বার  সেহরির সময় শেষ ইফতারের সময়
০৩ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ৩৩ am ৬ঃ২৪ pm
০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ৩২ am ৬ঃ২৫ pm
০৫ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ৩১ am ৬ঃ২৫ pm
০৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ৩০ am ৬ঃ২৬ pm
০৭ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ২৯ am ৬ঃ২৬ pm 
০৮ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ২৮ am ৬ঃ২৭ pm
০৯ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ২৭ am ৬ঃ২৭ pm
১০ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ২৬ am ৬ঃ২৮ pm
১১ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ২৫ am ৬ঃ২৮ pm
১২ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ২৪ am ৬ঃ২৯ pm

নাজাতের  ১০ দিন

মাস ও তারিখ  বার   সেহরির সময় শেষ ইফতারের সময়
১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ২৩ am ৬ঃ২৯ pm
১৪ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ২২ am ৬ঃ৩০ pm
১৫ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ২১ am ৬ঃ৩০ pm
১৬ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ২০ am ৬ঃ৩১ pm
১৭ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ১৯ am ৬ঃ৩১ pm
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ১৮ am ৬ঃ৩২ pm
১৯ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ১৭ am ৬ঃ৩২ pm
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১৬ am ৬ঃ৩৩ pm
২১ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১৫ am ৬ঃ৩৩ pm
২২ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ১৪ am ৬ঃ৩৪ pm

অপেক্ষা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ ও গল্প

0

যদি অপেক্ষা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন খুঁজে থাকেন তাহলে ঠিক জায়গায় এসেছেন এই পোস্টের মাধ্যমে কিছু নতুন অপেক্ষা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরা হবে আশা করি ভালো লাগবে। অনেকে আছেন যারা অপেক্ষা নিয়ে বিভিন্ন উক্তি,স্টাটাস, ছন্দ গুলো খুঁজে থাকেন এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। তাহলে একটু ধৈর্য সহকারে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং এই পোষ্টের সাথে থাকুন।

অপেক্ষা নিয়ে উক্তি

১. অপেক্ষা করা যায় কিন্তু সেটা অকারণে নয়, উদ্দেশ্য ছাড়া অপেক্ষা করা বোকামি।

২. ভালোবাসি মুখে খুব সহজেই বলা যায়, কিন্তু অপেক্ষা সবাই করতে পারে না।

৩. একটা কিছু ঘটবে বলে তার জন্য অপেক্ষা করে লাভ নেই, সময় নষ্ট হবে তা আর কিছুই না।

৪. অপেক্ষার ফল সব সময় সুমিষ্ট হয়।

৫. সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যতই পরীক্ষা করুক আপনি অপেক্ষা করুন, তাতে আপনার ফল ভালো হবে।

৬. অপেক্ষা জিনিসটা এমনও হতে পারে যে একটা জিনিসের জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করেও তা পাওয়া যায় না।

অপেক্ষা নিয়ে স্ট্যাটাস

১. অপেক্ষা করার মত ধৈর্য শক্তি সবার কাছে থাকে না।

২. জীবনে কিছু পেতে হলে, অপেক্ষা করাটা জরুরি।

৩. প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করাটাও এক ধরনের অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে।

৪. জীবনে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করা যায়, সঠিক কাজে লাগানোর জন্য।

৫. অপেক্ষা হচ্ছে নিজের উপর যে আমরা কতটুকু অপেক্ষা করতে পারব একটি জিনিসের জন্য।

৬. অপেক্ষা কখনো অভ্যাসে পরিণত করা যাবেনা, কারণ সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করে না।

অপেক্ষা নিয়ে ক্যাপশন

* এই জীবনে সবচেয়ে কঠিন জিনিস হল কারো জন্য অপেক্ষা করবো, আবার সেই অপেক্ষা যদি বৃথা না যায় তাহলে তার চেয়ে আনন্দের জিনিস আর কোন কিছু হতে পারে না।

* জীবনে আসলে অপেক্ষা ছাড়া কোন কিছু করা বা পাওয়া সম্ভব না, কারন জীবনটা বড়ই  কঠিন। অপেক্ষা ছাড়া খুব সহজে একটা জিনিস গর্জন করলে তা বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

* আসলে অপেক্ষা করার মত ধৈর্য যার মধ্যে আছে, তার চাওয়া-পাওয়া একদিন পূরণ হবেই।

* যদি তোমার ধৈর্য্য না থাকে, তাহলে তোমার জন্য অপেক্ষা জিনিসটা করো খুবই প্রয়োজন।

* এমন অনেক দিন গেছে তোমার জন্য অধীর অপেক্ষায়, কিন্তু প্রিয়তমা তোমার দেখা না পেয়ে অপেক্ষায় অপেক্ষায় দিনগুলি করিলাম একলা একা।

* বসে আছি একা একা তোমার অপেক্ষায় কখন বুঝি আসবে তোমার টেলিফোন।

* তুমি প্রিয় সময় নাও প্রয়োজন হলে কাশফুল হয়ে আসো আমি বসে আছি তোমার অপেক্ষায়।

অপেক্ষা নিয়ে মেসেজ

* অপেক্ষা আসলে এমন একটি জিনিস পরিস্থিতি সাপেক্ষে সে পরিবর্তন হয়।

* জীবন যখন ভুল পথে যায় তখন হঠাৎ করেই মনে হবে আমি কিসের অপেক্ষায় দিনগুলো পার করছি।

* অপেক্ষা কে কখনোই অভ্যাসে পরিণত হতে দেবেন না, তাহলে জীবনকে আর নিজের গতিতে চালানো যাবে না।

* জীবনকে যদি শুধু প্রস্তুতি নেওয়ার অপেক্ষায় কাটাতে থাকো, তাহলে আর জীবনকে কখনো বাস্তবায়নে কিছু চেষ্টা করে লাভ নেই জীবনটা শুধু স্বপ্নেই কেটে যাবে।

* যে মানুষটাকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসা যায়, তার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করা যায়।

* তোমাকে পাবার আশায় আমি আজও আমাদের সেই প্রিয় জায়গাটাতে তোমার অপেক্ষায় বসে থাকি।

অপেক্ষা নিয়ে গল্প

কখনোই কেউ অযথা কারো জন্য অপেক্ষা করে থাকে না, কোন কারণ ছাড়া কোন মায়া ছাড়া, ভালবাসা ছাড়া কেউ কখনো কারো জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। জীবনটা হলো মায়া ভরা, কে কখনো কার মায়ায় পড়ে যায় বলা মুশকিল। কথায় আছে না যে অপেক্ষার ফল সুমিষ্টি হয়, কথাটা চিরন্তন সত্য কিছু করার জন্যই হোক বা কিছু পাওয়ার জন্যই হোক না কেন অপেক্ষা করে থাকলে একদিন সেটা পাওয়া যায়।

জীবনে যদি কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা করে না থাকো তাহলে কোন কিছু পাবার আশায় একবার অপেক্ষা করে দেখো সেটা তুমি পেয়ে যাবে। জীবনকে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হলে অপেক্ষা করাটা জরুরী। আবার কিছু জিনিস আছে যেগুলো সারা জীবন অপেক্ষা করেও তাতে সফল হওয়া সম্ভব না। সে সব জিনিসের জন্য অপেক্ষা করা একদমই বোকামি।

সর্বশেষ কথাঃ 

অপেক্ষা নিয়ে যে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন গুলো লেখা হয়েছে যদি ধৈর্য সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার কাছের মানুষগুলোর সাথে যাতে তারা অপেক্ষা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এরকম আরো পোস্ট পেতে ভিজিট করুন আশা করি এরকম আরো অনেক ভালো ভালো পোস্ট পেয়ে যাবেন এই সাইটটিতে। কষ্ট করে এই পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ ও ডায়াবেটিস কেন হয়

0

বর্তমানে আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের রোগটি বেড়েই চলেছে। ডায়াবেটিস খুব মারাত্মক একটি রোগ কারণ এই রোগ আপনাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেবে এবং যখন বাইরে আসবে তখন বিভিন্ন জায়গা দিয়ে বেরিয়ে আসবে এটাই সত্যি। আমরা অনেকেই আছি যারা জানিনা যে আমাদের ভেতর ডায়াবেটিস আছে কি না এগুলো আসলে চেকআপ করা উচিত একটি সুস্থ শরীরের। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ আপনার ভেতরের কিডনি, লিভার এর ক্ষতি করে দেয়। আপনার শরীরের ত্বক নষ্ট করে দিবে, আপনার চুল গুলো পড়ে যাবে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ডায়াবেটিস কারণ আমাদের দেশের মানুষ অলস বেশি। তাই যখন আমাদের বয়স ৪০ এর ওপর চলে যায় তখন বেশিরভাগ লোকের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে।  তাই আমাদের দেহের ভেতরে যেকোনো রোগ খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেই আমাদের দেহের ভেতর ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ গুলো, যে আমাদের দেহে কিভাবে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধতে পারে তার কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল।

ডায়াবেটিস হওয়ার লক্ষণ

  • আমাদের শরীরের চামড়া শুষ্ক ও খসখসে ও চুলকানি ভাব দেখা দিবে। 
  • ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া বা পানি পিপাসা লাগবে । 
  • শরীর দুর্বল হওয়া এবং ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা। 
  • মিষ্টি জাতীয় খাবারের উপর বেশি আকর্ষিত হওয়া বা মিষ্টি খাওয়ার জন্য আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া। 
  • দেখা যাবে আপনার কোন সমস্যা নেই সুস্থ শরীরে হঠাৎ করেই দেখবেন আপনার শরীরের ওজন কমে গেছে। 
  • আপনার শরীরের কোন অংশে কেটে গেছে বা কোন ঘা হয়েছে সেই ক্ষত স্থান সারছে না। 
  • আপনি হঠাৎ করেই চোখে কম দেখা শুরু করবেন। 
  • আপনার শরীর ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়বে, কোন কিছু করার ইচ্ছা থাকবেনা। 

তাহলে উপরে দেখতেই পাচ্ছেন যে কি কি কারনে আমাদের ডায়াবেটিস হতে পারে। তাহলে অবশ্যই আমরা এই জিনিসগুলো খেয়াল করব এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে গিয়ে পরামর্শ করব। উপরের দেখা যেকোনো একটি কারণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন কারণ ডায়াবেটিস কয়েক ধরনের হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিস হওয়ার আরো কিছু কারণ

  • একজন গর্ভবতী মহিলার ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি  থাকে। 
  • পরিবারের যদি বাবা অথবা মায়ের ডায়াবেটিস থাকে তাহলে যদি কোন শিশু জন্ম নেয় এতে সেই শিশুর ডায়াবেটিস হতে পারে।
  • যাদের শরীরের হূদরোগ রয়েছে , উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের শরীরে ডায়াবেটিস হওয়ার খুব বেশি ঝুঁকি থাকে। 

উপরের এই পোস্টটি পড়ে আমরা বুঝলাম যে কি কি কারণে আমাদের ডায়াবেটিস হতে পারে । তাহলে অবশ্যই আমরা বুঝতে পারলাম যে এই লক্ষণগুলো যদি আমাদের দেখা দেয় বা যে রোগ গুলো আমাদের শরীরে আছে তাহলে অবশ্যই আমাদের জরুরিভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। আপনি যদি সরাসরি কাউকে বলতে লজ্জাবোধ করে থাকেন তাহলে আপনার পরিবারের কাউকে আপনার খুব ঘনিষ্ট কাছের বন্ধু কে খুব জরুরিভাবে জানাতে পারেন।

সর্বশেষ কথা 

যদি লজ্জার খাতিরে কিছু না বলেন বা কোন কিছুর বিষয়ে পরামর্শ না নেন তাহলে কিন্তু সমস্যা বা লস আপনারই হবে। তাহলে অবশ্যই আপনার যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে ডাক্তার বা পরিবারের সবথেকে কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করবেন। এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করব।

শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থান ও ভ্রমণ বৃত্তান্ত

0

শ্রীমঙ্গলের যে দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে এটা পুরো বিশ্বব্যাপী জুড়ে কয়েকটি দেশে এর নাম ও সুপরিচিত একটি জায়গা হিসেবে বলা চলে। যেমন চা হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের জন্য বিখ্যাত বা চায়ের রাজধানী বলা হয় এই জায়গাটিকে । এছাড়াও আরো অনেক কিছু রয়েছে যেমন বনভূমি, হাওর-বিল, বিভিন্ন উপজাতিদের বসবাস, রাবার বাগান, আনারস আর অন্য কিছু। 

বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কিছু নিয়ে বিখ্যাত আমাদের এই দেশ, কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন স্থানের কোন জিনিসগুলো কোথায় অবস্থিত। তো আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলের যে বিশেষ বিশেষ দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেই  জায়গার  বিস্তারিত কিছু সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। 

শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থান সমূহ

শ্রীমঙ্গলের যে দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সে সকল স্থানের মধ্যে রয়েছে যেমন চা রিসোর্ট ও জাদুঘর, রাবার বাগান, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, নীলকণ্ঠের সাত রঙের চা, হামহাম ঝর্ণা, বাইক্কার বিল, স্বর্ণালী ছড়া, লাউয়াছড়া উদ্যান, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, চা গবেষণা কেন্দ্র, পাহাড় টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান আরো অনেক কিছু। তাহলে চলুন দেখে নেই স্থানগুলো কোথায় অবস্থিত তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা। 

লাসুবন গিরিখাত

এই জায়গাটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সিন্দুরখান ইউনিয়নের অবস্থিত। এই জায়গাটি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী জায়গার কাছাকাছি এলাকা। লাসুবান গিরিখাত এই স্থানটির নাম হলেও সেখানকার স্থানীয় লোকেরা গিরিখাত চিনেন বা পরিচিত। এই জায়গাটিতে দেখতে পাবেন ছোট-বড় পাহাড়ের চূড়া বা ঝিরি।

চা জাদুঘর

শ্রীমঙ্গল কে বলা হয় চায়ের রাজধানী, এই জাদুঘরটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কমলগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত। এই জাদুঘরের  ৪ টি কক্ষে ৪৪ টিরও বেশি স্মারক ও সংগ্রহের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে এই চা জাদুঘর। বাংলাদেশের অনেক পুরনো একটি ঐতিহ্য এই চা, যা আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই চায়ের রপ্তানি হয়ে থাকে।

রাবার বাগান

শ্রীমঙ্গলের কয়েকটি জায়গায় রাবার বাগান রয়েছে যেমন শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও ইউনিয়নে, কুলাউরায়, হবিগঞ্জে। শ্রীমঙ্গলে রয়েছে বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের অধীনে কয়েকটি রাবার বাগান এবং বেসরকারি ভাবে এখন সবাই রাবার চাষ করে থাকে। শ্রীমঙ্গলে প্রায় অনেক জায়গায় রয়েছে রাবার বাগান, অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার সময় এই রাবার বাগান গুলো চোখে পড়ে। 

বাইক্কা বিল 

এই বিলটি শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের পূর্বদিকে অবস্থিত। এই বিলটিতে রয়েছে অতিথি পাখির মেলা ও বিভিন্ন ধরনের পাখিদের আনাগোনা, পানিতে কয়েক প্রজাতির ফুল, এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এই জায়গাটি বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ দর্শনীয় স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। অনেক বছর ধরে এই বিলটিতে পাখির স্থানী অভয়াশ্রমে পরিণীতা হিসেবে রয়েছে। 

নীলকণ্ঠের সাত রঙের চা  

শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত একটি চা এর নাম হচ্ছে সাত রঙের চা। এই জায়গাটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৩  কিলোমিটার দূরে নীলকন্ঠ চার রাস্তার মোড় থেকে রাইফেল ব্যাটালিয়নের ক্যান্টিনে সাইটে অবস্থিত। শ্রীমঙ্গলের সাত রঙের চা শ্রীমঙ্গল যাওয়ার পর খাইনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। চা বিক্রেতার নাম হচ্ছে রমেশ রাম গৌর, তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে এই চা বিক্রি করছেন। 

লাউয়াছড়া উদ্যান

লাউয়াছড়া উদ্যান বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটি জাতীয় উদ্যান। এই উদ্যানটি মৌলভীবাজার জেলায় উপজেলায় বিশাল এক জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এই উদ্যানটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুরনো গাছপালা, দুর্লভ প্রজাতির জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ ও বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ।  

হাম হাম জলপ্রপাত

এই জলপ্রপাতটি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় রাজকান্দি ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত। এই জলপ্রপাতটি হলো একটি ঝর্ণা, এই ঝর্ণাটির নিকটবর্তী স্থানে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলের বর্ডার। এটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত এই ঝর্নাটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা চিতা ঝর্ণা বলেও ডেকে থাকে।

সর্বশেষঃ 

এই পোষ্টের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলের যে বিশেষ দর্শনীয় স্থানগুলো হয়েছে আশা করি সব ধরনের দর্শনীয় স্থানগুলোর প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম আরো বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় স্থানের তথ্য জানার জন্য এই সাইটে ভিজিট করুন আশা করি সকল প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো পেয়ে যাবেন। 

খাগড়াছড়ি জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

0

আপনারা যারা খাগড়াছড়ি জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডার খুঁজে পাচ্ছেন না বা সময় মত সেহরি বা ইফতার করতে সমস্যা হচ্ছে। তাদের জন্য এই পোস্টের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার ইফতারের সময়সূচি তুলে ধরা হবে আশা করি সঠিক তথ্য পাবেন। প্রিয় খাগড়াছড়ি জেলার মুসল্লী ভাই ও বোনেরা আপনারা জানেন যে সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করা সুন্নত এবং কি নিয়ম। অনেক জায়গায় অনেক ভুয়া তথ্যের ক্যালেন্ডার দেওয়া রয়েছে আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে পবিত্র রমজানের সঠিক ক্যালেন্ডার দেয়া হয়েছে। 

খাগড়াছড়ি জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

খাগড়াছড়ি জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আপনারা চাইলে এই সাইটটিতে প্রতিদিন ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন প্রতিদিনের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। এই পোস্টে নিচের টেবিলে দেওয়া যে সময়সূচী দেওয়া হয়েছে হয়তোবা দুই এক মিনিট এদিক সেদিক হতে পারে সময়ের কারণে। আর কথা না বাড়িয়ে তাহলে নিজ থেকে দেখে নিন আপনাদের খাগড়াছড়ি জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী। 

রহমতের  ১০ দিন

মাস ও তারিখ দিবস  সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
২৪ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৩৩ am  ৬ঃ০৮ pm
২৫ মার্চ শনিবার ৪ঃ৩২ am ৬ঃ০৯ pm
২৬ মার্চ রবিবার ৪ঃ৩০ am ৬ঃ০৯ pm
২৭ মার্চ সোমবার ৪ঃ২৯ am ৬ঃ১০ pm
২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৪ঃ২৮ am ৬ঃ১০ pm
২৯ মার্চ বুধবার ৪ঃ২৭ am ৬ঃ১১ pm
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪ঃ২৬ am ৬ঃ১১ pm
৩১ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ২৫ am ৬ঃ১২ pm
০১ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ২৩ am ৬ঃ১২ pm
০২ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ২২ am ৬ঃ১৩ pm

মাগফিরাতের ১০ দিন

মাস ও তারিখ দিবস  সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
০৩ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ২১ am ৬ঃ১৩ pm
০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ২০ am ৬ঃ১৪ pm
০৫ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ১৯ am ৬ঃ১৪ pm
০৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১৮ am ৬ঃ১৫ pm
০৭ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১৭ am ৬ঃ১৫ pm 
০৮ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ১৬ am ৬ঃ১৬ pm
০৯ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ১৫ am ৬ঃ১৬ pm
১০ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ১৪ am ৬ঃ১৭ pm
১১ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ১৩ am ৬ঃ১৮ pm
১২ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ১২ am ৬ঃ১৯ pm

নাজাতের ১০ দিন

মাস ও তারিখ দিবস   সেহরির শেষ সময় ইফতারের সময়
১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১১ am ৬ঃ১৯ pm
১৪ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১০ am ৬ঃ২০ pm
১৫ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ০৯ am ৬ঃ২০ pm
১৬ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ০৮ am ৬ঃ২১ pm
১৭ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ০৭ am ৬ঃ২১ pm
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ০৬ am ৬ঃ২২ pm
১৯ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ০৫ am ৬ঃ২২ pm
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ০৪ am ৬ঃ২৩ pm
২১ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ০৪ am ৬ঃ২৩ pm
২২ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ০৩ am ৬ঃ২৪ pm

সুস্বাস্থ্য নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন, হাদিস ও কবিতা

0

সুস্বাস্থ্য যে সৃষ্টিকর্তার কত বড় একটি নিয়ামত সেটি হয়তো একজন অসুস্থ মানুষ ভালো বুঝতে পারবে। সুস্বাস্থ্য মানুষ এবং সুশিক্ষা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তো যাই হোক এই পোস্টের মাধ্যমে কিছু সুস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে আশা করি যা কিছু লেখা হবে সম্পূর্ণ নতুন কিছু পাবেন। যাতে করে আপনারা এই লেখাগুলো থেকে কিছু সংগ্রহ করতে পারেন এবং কিছু জ্ঞান মূলক কথা শিখতে পারেন। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেই সুস্বাস্থ্য নিয়ে কিছু উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন গুলো। 

সুস্বাস্থ্য নিয়ে উক্তি

১. সুস্বাস্থ্য ও আনন্দ একজন আরেক জনের পরম বন্ধু এটা কিন্তু চিরন্তন সত্য। – এডিসন 

২. স্বাস্থ্যই হল সর্বপ্রথম নিজের ধন । – ইমার্শন

৩. সুস্বাস্থ্য হল নিজের সুখ যা অন্য কিছু ধারা পূরণ করা যায় না বা কোন কিছু ধারা কেনা সম্ভব না। – সংগ্রহীত

৪. আপনারা স্বাস্থ্যের খেয়াল নিন কারণ এটাই একমাত্র জায়গা যেখানে আপনি বসবাস করতে পারবেন। – জিম রন 

৫. আপনি যদি মনে করেন সুস্বাস্থ্য অর্জন করা অনেক সময় বা পরিশ্রম সাপেক্ষে আসে, তাহলে একবার অসুস্থ কে আপন করে নিন সবকিছু বুঝতে পারবেন নিজে থেকেই। – লি সোয়ানসন

৬. সুস্বাস্থ্য কখনো কাউকে টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি দিতে পারবে না এটা সত্য, কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু দিতে পারে যেমন সুস্বাস্থ্য হল জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। – আন্ড্রিউ  সেইল 

৭. নিশ্চয়ই মানুষকে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোন নিয়ামত প্রদান করা হয় নাই। – হযরত মুহাম্মদ সাঃ

৮. সুস্বাস্থ্যই প্রকৃত সত্য ধন-সম্পদ কিংবা সোনার, রুপার খনি নয় তবে সুস্বাস্থ্য হল নিজের এমন একটি  পাওয়া সুখ যা আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না। এবং সুন্দর হাসি ও ঘুমের ওষুধ হল সুস্বাস্থ্যতা।- মহাত্মা গান্ধী 

৯. আমরা মাঝে মাঝেই ভুলে যাই যে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই নৈতিক দায়িত্ব। – হার্বাট স্পেনসর 

১০. একজন মানুষ তার হয়তো বা টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি, ধন-দৌলত নাই থাকতে পারে কিন্তু সে তার সুস্বাস্থ্য শরীর নিয়েই অনেক খুশি, এটাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। – সংগৃহীত

সুস্বাস্থ্য নিয়ে ক্যাপশন

১. সুস্বাস্থ্যহীন মানুষ শুধু পরিবারের নয় একটি সমাজের বোঝাস্বরূপ। 

২. আপনার সুখ নির্ভর করে আপনার সুস্বাস্থ্যতার উপায়। 

৩. যদি তুমি স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নাও তাহলে রোগব্যাধি তোমাকে বিরক্ত করবে না। 

৪. জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সুস্বাস্থ্য শরীরের জন্য হয়তো একটু পরিশ্রমই যথেষ্ট।

৫. নিজের স্বাস্থ্য, সুস্বাস্থ্য রাখতে স্বার্থপরতা নয়, এটি হলো যার যার নিজ দায়িত্ব। 

৬. মানব জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে সুস্বাস্থ্য, যে জাতি অসুস্থ সে হলো সমাজের ও দেশের একটি বোঝাস্বরূপ। 

৭. শারীরিক সুস্বাস্থ্য কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্যসম্মত দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি গুলির মধ্যে একটি এবং এই সুস্বাস্থ্য সৃষ্টিকর্তার রহমত ও কর্মশক্তি থেকে পাওয়া। 

৮. এই দুনিয়াতে যত ধন-দৌলত আর পাহাড় সমান সম্পদ যাই থাক না কেন সুস্বাস্থ্য হলো সবচেয়ে বড় সম্পদ। 

সুস্বাস্থ্য নিয়ে স্ট্যাটাস

> সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে তোমাকে অবশ্যই পরিশ্রমি হতে হবে।  

> সুস্বাস্থ্যের রহস্য হলো সব সময় নিজেকে খুশি রাখা। 

> যদি সুস্বাস্থ্যের জন্য সময় না দিতে পারেন তাহলে অসুস্থকে বেছে নিতে হবে। 

যদি সারা জীবন সুখী হতে চাও তাহলে নিজের স্বাস্থ্যকে, সুস্বাস্থ্যে পরিণত কর। 

> জীবনে যত যাই করুন না কেন শরীরের সুস্বাস্থ্যের যত্ন না নিলে কোন লাভ নেই, এটা চিরন্তন সত্য একটি কথা। 

> শরীরকে সুস্বাস্থ্য রাখতে শুধু প্রতিদিন নিয়ম মাফিক একটু ব্যায়ামই যথেষ্ট হতে পারে। 

সুস্বাস্থ্য নিয়ে হাদিস

» সুস্বাস্থ্য হচ্ছে আল্লাহতালার দেওয়া সবচেয়ে বড় একটি নিয়ামত। 

» একটি মানুষ সুস্থ থাকতে তার সুস্বাস্থ্যর যত্ন নেয় না, অসুস্থ হলে সে বুঝে যে সুস্বাস্থ্যতা সৃষ্টিকর্তার দেওয়া কত বড় একটি নিয়ম। 

» সৃষ্টিকর্তা হয়তোবা একটি মানুষকে অসুস্থ করেন তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই, কারণ একজন মুমিন বান্দা বেশিরভাগ সময়েই সুস্বাস্থ্য থাকে। 

» সুস্বাস্থ্য আসলে সৃষ্টিকর্তার এমন একটি নেয়ামত যা কখনো জোর করে পাওয়া সম্ভব না। 

» একজন অসুস্থ ব্যক্তিই জানে যে সুস্বাস্থ্য থাকাটা একটি মানুষের কতটা জরুরী। 

» হে আমার বান্দারা, তোমরা সুস্বাস্থ্য থাকতেই তোমাদের শরীরের যত্ন নাও” না হয় পরে তোমাকে পস্তাতে হবে। 

সর্বশেষ কথাঃ  

সুস্বাস্থ্য নিয়েছে যে উক্তি ও স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়েছে যদি পড়ে থাকেন আশা করি অবশ্যই ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, আপন জনদের মাঝে। এই পোস্টের মাধ্যমে যে কথাগুলো লেখা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন যা অবশ্যই ভালো লাগবে এবং ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে এই সাইটে ভিজিট করুন আশা করি এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেয়ে যাবেন।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও কবিতা

0

বাঙালির সর্বস্তরের প্রাণপ্রিয় ভাই ও বোনদের জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা অনেকেই আছেন যারা পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্ট্যাটাস, পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্যাপশন, পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি, পহেলা বৈশাখ নিয়ে কবিতা বিভিন্ন কিছুর খোঁজ করে থাকেন। আসলে পহেলা বৈশাখ হল আমাদের বাঙ্গালীদের আনন্দের একটি দিন যে দিনটিতে সব অভিমান, দুঃখ কষ্ট ভুলে আমরা আনন্দে মাতিয়ে উঠি। বাঙ্গালীদের এক নতুন দিনের শুরু হলো পহেলা বৈশাখ। 

এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা এগুলো খুঁজে থাকেন।  আশা করি এই পোস্ট থেকে কিছু নতুন নতুন পহেলা বৈশাখের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন ও কবিতা খুঁজে পাবেন। তাহলে নিজ থেকে দেখে নিন পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন এবং বেছে নিন আপনাদের পছন্দমত উক্তি ও স্ট্যাটাস গুলো। 

পহেলা বৈশাখ নিয়ে উক্তি 

* পুরনো যত হতাশ, দুঃখ-কষ্ট, যন্ত্রনা-বেদনা সব ভুলে সুখে ও আনন্দে কাটুক আজকের এই পহেলা বৈশাখ।

* পহেলা বৈশাখের এই দিনে পান্তা ভাত আর কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ হল বাঙালির প্রিয় খাবার। 

* এই নতুন দিনে নতুন রঙে, নতুন সাজে সেজে ওঠো প্রিয় যেতে হবে বাহিরে অনেক দূর ঘুড়িতে। 

* চৈত্র মাসের খরায় যেন খা খা করছে সকল মাঠঘাট কালবৈশাখী ঝরে যেন সব হেসেছে আজ। 

* পুরনো দিনগুলো যেমনই হোক আজ এই পহেলা বৈশাখে সব স্মৃতি ভুলে তোমায় জানাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা। 

* পান্তা ইলিশ আর কাঁচামরিচ পেঁয়াজ বাঙালির প্রাণ, নতুন বছরের সবাই গাইবো বৈশাখীর গান,,,,, এসো হে বৈশাখ এসো। 

পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্ট্যাটাস 

১. নিশি যখন ভোর হবে, সুখ তারা নিভে যাবে। আসবে একটি নতুন দিন সব দুঃখ ভুলে শুধু আনন্দে মেতে উঠবো সেই দিনটিতে। 

২. নতুন ভোরের নতুন আলোয় দুঃখ যাবে ভুলে, ঝিলমিলিয়ে হাসবে সবাই আধার আসবে নেমে। 

৩. এই রমনার মেটু পথে আঁকাবাঁকা রাস্তায় তোমার সাথে দু পায়ে হেঁটে প্রেমের গল্প করিতে করিতে পার করিব এই বছরের প্রথম দিনটি। 

৪. ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, চলে এলো নতুন বছরের সকাল, লাগুক সবার পানে আনন্দের স্পর্শ এই পহেলা বৈশাখে। 

৫. এই পহেলা বৈশাখে মনে জাগুক বসন্তের সুখ, সবার স্বপ্ন হোক রঙিন আর আনন্দে থাকুক সবাই সারাটি বছর।

৬. আবির মেখে চোখে চোখে মনের কথা এসেছে বলতে, নতুন সাজে সবার ঘরে এসেছে বৈশাখ। শুভ পহেলা বৈশাখ

পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্যাপশন

> ওই বসন্তের কোকিলের ডাক যেন আজ ফিরে এসেছে এই বৈশাখে, বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুলের আগমন আর তোমার সেই ব্যাকুল হাসির ঠোঁট যেন প্রকৃতির মাঝে মিশে গেছে। শুভ নববর্ষ প্রিয়

> এলো নতুন বছর তোমায় নিয়ে ঘুরে বেড়াবো তেপান্তরে তুমি কি তাতে রাজি আছো প্রিয়। পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা

> মাঘে সুখী, ফাল্গুনে সুখী, চৈত্রে খা খা আর বৈশাখে টলমলে।

> বৈশাখের প্রথম জলে আশুধান দ্বিগুণ ফলে। 

> এই পহেলা বৈশাখে সাদা শাড়িতে, লাল গোলাপে মানিয়েছে বেশ ভালোই, চলো এবার ঘুরে বেড়াই মেলাতে গিয়ে। 

> বছর ঘুরে এলো আনন্দের দিন, পলাশ শিমুলের গাছে লেগেছে আগুন তাইতো বৈশাখের কালবৈশাখী ঝরে সবাইকে দিল ভিজিয়ে।  

পহেলা বৈশাখ নিয়ে লেখা 

আমরা বাঙালি জাতি এই পহেলা বৈশাখের জন্য অপেক্ষা করে থাকি এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কারণ বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ছড়িয়ে আছে পহেলা বৈশাখের দিনটিতে। এই দিনটিতে আনন্দের মধ্যে মেতে ওঠে সারা বাংলাদেশের মানুষগুলো আর ঘরে ঘরে ভরে ওঠে পান্তা ভাত ইলিশ আর কাঁচা মরিচ পেঁয়াজে। এই উৎসব মুখর দিনটিতে বাঙালি জাতি গর্জে উঠে নতুন রূপে, নতুন সাজে, বিভিন্ন জায়গায় মেলা, শোভাযাত্রা আর কনসার্ট এর মধ্য দিয়ে। 

আমাদের বাঙালি জাতির বিশেষ একটি দিন হচ্ছে এই পহেলা বৈশাখ যে দিনটিতে আমরা পূর্বের সব দুঃখ-কষ্ট, রাগ-অভিমান, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সকল কিছু ছেড়ে সবাই মিলে একসাথে উদযাপন করি পহেলা বৈশাখ এর এই আনন্দদায়ক দিনটি। বাঙালির মুখে হাসির ঝলক দেখা যায় এই বৈশাখের প্রথম দিনটিতে। সবাই নতুন কাপড়-চোপড় আর সাজুগুজু করে বের হয়ে যায় মেলায়, দিনটি যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে সবার অন্তরে। 

পহেলা বৈশাখ নিয়ে কবিতা

বাংলা নববর্ষের কবিতা

এ.কে দাস মৃদুল

বৈশাখ এলো রে,

ঝড়ো হাওয়া বয়ে বৃক্ষের ডালে নব পল্লবে; 

ঘরে ঘরে আনন্দধারা নিয়ে,

পুরাতন ধুয়ে মুছে বৈশাখ এলো রে। 

জীর্ণতার পিছু ফেলে যা ছিল অনাদরে,

নতুন দিনের তরুণ আলোয়;

মাঠে-ঘাটে সার্বজনীন বর্ণের উৎসবে।

পান্তা ইলিশের সুবাসে বৈশাখ এলো রে!

আগামীর চলার পথে সুনিপুণ্য স্বপ্ন বুকে,

বাঙালির ঘরে ঘরে শান্তির বারতায়;

হালখাতায় নববর্ষ বরুনের বৈশাখ এলো রে।

আনন্দ মেলার মিছিলে বাশরীরা বাজায় বাঁশির সুর,

মানব মানবীর উল্লাসে ;

ঢোল ডুগডুগি বাউল সংগীতের নৃত্যে, 

মানুষত্বের মিলন মেলায় বৈশাখ এলো রে।

বৈশাখী প্রেম

খালেদ বিন জয়েনুদ্দিন

বৈশাখী মেয়ে এলো আমাদের গাঁয়েতে,

কপালে টিপ পরা রং মাখা পায়েতে।

ধান-কুলা হাতে তার বাজে ঢাক-ঢোল,

হাসিখুশি মুখ খানা দোলে নাকে নোলক।

বৈশাখী মেয়ে এলো মেলা বসে মাঠেতে,

খোকা খুকুর মন নেই একা একা মাঠেতে;

বাড়ি বাড়ি গান গায় মতে নববর্ষে।

বরণের ডালাখানি হাতে নিয়ে হষে,

তাই দেখে বৈশাখী হাসে বুড়ো মুচকি।

দই,চিরে, সন্দেশ আরো খায় ফুচকা!

সার্কাসের হাতি ঘোড়া ভাল্লুকের মায়াতে,

এবছর থেকে যায় পল্লীর ছায়াতে। 

সর্বশেষ কথা

এই পোস্টটি যদি পড়ে থাকেন আশা করি ভালো লাগবে এবং যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আপনার আপন মানুষদের মাঝে যাতে তারা এই পোস্টটি পড়ে একটু পহেলা বৈশাখের যে আনন্দময় দিনটি সেটি উপভোগ করতে পারে। 

জামালপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

0

জামালপুর জেলার সুপ্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছেন। তো আপনারা যারা আপনাদের জামালপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি এখনো খুঁজে পাননি বা এখনো খুঁজছেন তাদের জন্য এই পোষ্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে জামালপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। 

মহান রাব্বুল আলামিন এর অশেষ রহমতে এই পবিত্র রমজান মাসটি একটি বছর ঘুরে আবার পেয়েছি।  অনেকেই আপনজনদের মাঝে থেকে অনেক কিছুই হারিয়েছে যেমন আত্মীয়-স্বজন, বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি। তাহলে আমরাও হয়তো আবার আগামী রমজান মাস নাও পেতে পারি। তাই আমাদের অবশ্যই এই পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা উচিত এবং কি মহান আল্লাহ তায়ালা এই পবিত্র রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ করে দিয়েছেন আমাদের মুসলিমদের ওপর। 

জামালপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী

জামালপুর জেলার প্রিয় বসবাসকারী ভাই ও বোনেরা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজনেরা আপনারা সঠিক ক্যালেন্ডারের জন্য সঠিক জায়গায় এসেছেন। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিচের দেওয়া  ছকটি তুলে ধরা হয়েছে আশা করি সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে দেখে নিন আপনাদের জামালপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। 

রহমতের ১০ দিন

 তারিখ   বার সেহরির শেষ সময়     ইফতারের সময়
২৪ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৪২ am  ৬ঃ১৬ pm
২৫ মার্চ শনিবার ৪ঃ৪১ am ৬ঃ১৭ pm
২৬ মার্চ রবিবার ৪ঃ৩৯ am ৬ঃ১৭ pm
২৭ মার্চ সোমবার ৪ঃ৩৮ am ৬ঃ১৮ pm
২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৪ঃ৩৭ am ৬ঃ১৮ pm
২৯ মার্চ বুধবার ৪ঃ৩৬ am ৬ঃ১৯ pm
৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার ৪ঃ৩৫ am ৬ঃ১৯ pm
৩১ মার্চ শুক্রবার ৪ঃ৩৩ am ৬ঃ২০ pm
০১ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ৩২ am ৬ঃ২১ pm
০২ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ৩১ am ৬ঃ২১ pm

 মাগফিরাতের ১০ দিন

তারিখ   বার  সেহরির শেষ সময়   ইফতারের সময়
০৩ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ২৯ am ৬ঃ২২ pm
০৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ২৮ am ৬ঃ২২ pm
০৫ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ২৭ am ৬ঃ২৩ pm
০৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ২৬ am ৬ঃ২৩ pm
০৭ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ২৫ am ৬ঃ২৪ pm 
০৮ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ২৪ am ৬ঃ২৪ pm
০৯ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ২৩ am ৬ঃ২৫ pm
১০ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ২২ am ৬ঃ২৫ pm
১১ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ২১ am ৬ঃ২৬ pm
১২ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ২০ am ৬ঃ২৬ pm

নাজাতের ১০ দিন

 তারিখ   বার  সেহরির শেষ সময়   ইফতারের সময়
১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১৯ am ৬ঃ২৭ pm
১৪ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১৮ am ৬ঃ২৭ pm
১৫ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ১৭ am ৬ঃ২৮ pm
১৬ এপ্রিল রবিবার ৪ঃ১৬ am ৬ঃ২৮ pm
১৭ এপ্রিল সোমবার ৪ঃ১৫ am ৬ঃ২৯ pm
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ৪ঃ১৪ am ৬ঃ২৯ pm
১৯ এপ্রিল বুধবার ৪ঃ১৩ am ৬ঃ৩০ pm
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ৪ঃ১২ am ৬ঃ৩০ pm
২১ এপ্রিল শুক্রবার ৪ঃ১১ am ৬ঃ৩১ pm
২২ এপ্রিল শনিবার ৪ঃ১০ am ৬ঃ৩১ pm

কলকাতার দর্শনীয় স্থান ( কলকাতার ১০ টি সেরা দর্শনীয় স্থান )

0

ভারতের এক অন্যতম সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের শহর বলা হয়ে থাকে এই পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতাকে। যদি অল্প খরচের মধ্যে দেশের বাহিরে কোথাও ঘুরতে যান তাহলে কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। কারণ অল্প খরচে ভ্রমণ করা, সেখানকার দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে দেখা, যাবতীয় সব কিছু কেনাকাটা করা যায় অল্প খরচে, চিকিৎসার দিক দিয়েও কলকাতা বেশ বিখ্যাত একটি শহর। 

আমরা যারা কলকাতার কিছু দর্শনীয় স্থানে যেতে চাচ্ছি বা যাব কিন্তু দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম ঠিকানা অনেকেই গুগলের সার্চ করে থাকি কিন্তু সঠিক কোনো তথ্য পাচ্ছেন না আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে কলকাতার সেরা দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে তার সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেই কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলো। 

১. হাওড়া ব্রিজ

কলকাতার হাওড়া শহরে হুগলি নদীর উপরে অবস্থিত হাওড়া ব্রিজটি। এই ব্রিজটি কলকাতা বাসীদের কাছে ” রবীন্দ্র সেতু ” নামে বেশ পরিচিত। এই ব্রিজটি কলকাতার সংযোগ রক্ষাকারী সেতু গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্রিজ। ব্রিজটির সৌন্দর্য এতটাই সুন্দর যে একবার দেখলে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। 

২. হংসেশ্বরী মন্দির

এই হংসেশ্বরী মন্দিরটি কলকাতা শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্দির। এই মন্দির সৌন্দর্য খুবই অপূর্ব ও রাজকীয় পরিবেশের একটি তীর্থস্থান হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। মন্দিরটি বেশ পুরনো একটি স্থাপনা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে বেশ আকর্ষণীয় একটি স্থান। 

৩. কফি হাউজ

কলকাতার এক প্রাচীন বাঙ্গালীদের আড্ডার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান এই কফি হাউজ। কলেজস্ট্রিটে প্রেসিডেন্সি কলেজের পিছনে কফি হাউস অবস্থিত। এখান থেকেই  ” কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ” এই গানটির জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এখন পর্যন্ত কফি হাউজ আগের মতই দাপটের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে। 

৪. ন্যাশনাল লাইব্রেরি

পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার হল কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত এই ন্যাশনাল লাইব্রেরি। পুরো ভারতবর্ষের সবচাইতে বড় গ্রন্থাকার হল এই ন্যাশনাল লাইব্রেরি। যেখানে রয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ বই  এবং ৫ লক্ষ পান্ডুলিপি। 

৫. আলিপুর চিড়িয়াখানা

কলকাতার আরেকটি জনপ্রিয় ভ্রমণ কেন্দ্র হল এই আলিপুর চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানাটি ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শীতের মৌসুমে এই চিড়িয়াখানাটিতে বেশি লোকজনের সমাগম দেখা যায়। চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে বাহারি রঙের বিভিন্ন পশুপাখি যেমনঃ সিংহ, বাঘ, হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ইত্যাদি। 

৬. বোটানিক্যাল গার্ডেন

কলকাতায় হাওড়া শিবপুর অবস্থিত এই ঐতিহাসিক বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই উদ্যানটিতে ১৪ হাজার প্রজাতির মোট ১৭ হাজার গাছ রয়েছে । এটিই বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম উদ্ভিদ উদ্যান, যেখানে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো কিছু বৃক্ষ। এই গানটিতে ঢোকার সাথে সাথে মনে হয় এক অন্য জগতে এসে পৌঁছেছি। 

৭. নিক্কো পার্ক

কলকাতার আকর্ষণীয় পর্যটক কেন্দ্র হল এই নিক্কো পার্ক। কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান যেখানে ভ্রমণকারীরা আকৃষ্ট না হয়ে পারবেন না। এখানে রয়েছে বিভিন্ন আনন্দদায়ক রাইডস এবং নৌকা চালানোর লেক। চারদিকের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মিলে যাওয়া সব জায়গাগুলো দেখে প্রাণটা একদম ভরে যাওয়ার মত একটি জায়গা। 

৮. কলকাতা মার্বেল প্যালেস 

কলকাতা বাংলার এক সৌখিন রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক বাহাদুর এর এক বিরাট অট্টালিকা প্রাসাদ যা তৈরি করা হয় ১৮৩৫ সালে। যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি অন্যতম ভ্রমণ স্থান এই রাজবাড়ী। রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক খুবই সৌখিন একজন রাজা ছিলেন তার নিজের ইচ্ছে মত রাজবাড়ী তৈরি করেছিলেন। রাজবাড়ীটির সব কাজগুলো এত নিখুত ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে একবার দেখলে শুধু দেখতে ইচ্ছে করে। 

৯. প্রিন্সেপ ঘাট 

কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা হল প্রিন্সেপ ঘাট। এই ঘাট থেকে প্রায় অনেক নদীতে ভ্রমণে যাওয়া যায়। এই ঘাটটি ভারতের একটি জনপ্রিয় ঘাট হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ করতে আসে এই ঘাটে নদীগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য। এই ঘাটের অনেক জায়গা জুড়ে আলোকমালা, বাগান ও উপহার দিয়ে সাজানো হয়েছে। 

১০. দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির

কলকাতার হিন্দু প্রজাতিদের এক অন্যতম কালী মন্দির হলো এই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৫ সালে রানী রাসমণি এর হাত ধরে। এই মন্দিরটিতে কালী সাধনা করতেন হিন্দু প্রজাতির একসময়ের জনপ্রিয় এক  মহান ব্যক্তি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। 

১১. কলকাতা ভাসমান বাজার

কলকাতা জনবহুল পাটুলিতে দক্ষিণ কলকাতার সর্বপ্রথম তৈরি হয় এই ভাসমান বাজার। বেশ জনপ্রিয় এই ভাসমান বাজার, দোকান গুলো সব নৌকার উপরে তৈরি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাজারটি যেন এক অপূর্ব রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি নদীর উপর। এ এক অন্যরকম পরিবেশের সাথে সেখানকার স্থানীয় লোকেরা এ বাজারটি পরিচালনা করে থাকেন। 

সর্বশেষ কথাঃ 

কলকাতার যে দর্শনীয় স্থানগুলো উপরে তুলে ধরা হয়েছে আশা করি এই সবগুলি দর্শনীয় স্থান গুলোই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং পর্যটক স্থান গুলোর মধ্যে সেরা। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে সাইটে ভিজিট করুন। 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে স্ট্যাটাস, ছন্দ, ক্যাপশন ও কবিতা

0

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে অনেকে অনেক উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন খুঁজে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু নতুন নতুন ক্যাপশন, উক্তি, স্ট্যাটাস পেয়ে যাবেন, এবং আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখে নেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কিছু উক্তি ও স্ট্যাটাস, ছন্দ ও কবিতা গুলো।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উক্তি

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সেরা সৌন্দর্য হলো এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কিছু উক্তি তুলে ধরা হলো আশা করি ভালো লাগবে এবং এখান থেকে উক্তি গুলো শেয়ার করতে পারবেন অথবা সংগ্রহ করতে পারবেন।

১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সবকিছুর মধ্যেই কোনো-না-কোনো আশ্চর্য জনক কিছু লুকিয়ে আছে অবশ্যই, তার জন্যই তো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত সুন্দর এত অপূর্ব।

২. যদি কখনো মনটা খুবই খারাপ হয়, তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই মায়াবী দৃশ্য গুলো দেখলে অবশ্যই ভালো লাগবে।

৩. একজন বুদ্ধিমান মানুষ সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলে।

৪. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মানব জাতির জন্য সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ একটি সম্পদ।

৫. আপনি যতই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে আঁকড়ে ধরবে, তার চেয়ে বেশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আঁকড়ে ধরবে।

৬. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কখনো নিজের গভীরতা নিয়ে চিন্তা করেন সবটুকুই মানবজাতির সেবায় নিয়োজিত থাকে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে স্ট্যাটাস

আপনারা অনেকে আছেন যারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে অনেক স্ট্যাটাস খুঁজে থাকেন কিন্তু কোথাও খুঁজে পান না আশাকরি এখান থেকে কিছু নতুন স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

১. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে গেলে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায় কিন্তু অন্য কিছুর মধ্যে হারিয়ে গেলে তা সম্ভব নয়।

২. প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের সবটুকু শুধু আমাদের জন্য উৎসর্গ করে, কিন্তু তার বিনিময়ে আমরা কিছুই দিতে পারিনা।

৩. আমাদের জীবনের যা কিছু অর্জন সব কিছুর মধ্যেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবদান রয়েছে।

৪. একজন সুস্থ মানুষ যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে তার অর্ধেকটাই যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সুস্থ হয়ে যায়।

৫. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সৌন্দর্য না থাকলে হয়তো বা এই দুনিয়ার মানুষগুলো এ দুনিয়াতে চিরকাল থাকত না।

৬. প্রকৃতিকে গভীরভাবে ভালোবাসতে পারলে সে কখনো ঠকাবে না।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে ক্যাপশন

১. প্রকৃতি কিন্তু তার নিয়ম শৃঙ্খলায় চলে কিন্তু আমরা সেই নিয়ম এর ভিতর গাথা।

২. যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসে তারা অন্তত কখনো খারাপ হতে পারে না।

৩. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হলে নিজেকে সেই প্রকৃতির সাথে মিলে যেতে হবে তা না হলে প্রকৃতির যে রূপ ও সৌন্দর্য তা কখনোই বোঝা যাবে না।

৪. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে আপনি খুঁজে পাবেন জীবনের অনেক পৃষ্ঠা,  যে পৃষ্ঠা আপনার জীবনের গল্পটাই পাল্টিয়ে দিবে সম্পূর্ণ রূপে।

৫. আপনি প্রতিদিন যদি প্রকৃতির মাঝে ধর্ষণ দেন তাহলেই আপনার প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক হবে আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে ভালোবাসা সেটি হয়তো বা আপনি বুঝতে পারবেন।

৬. কেউ প্রকৃতিতে একবার হারিয়ে গেলে সে কখনো ব্যর্থ হবে না, তার জীবনের লক্ষ্য টা কিছু হলেও পূরণ হবে।

৭. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যে শিক্ষা, সেই শিক্ষা মানুষের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে। জীবনের মানেটা সে তখন বুঝতে পারে জীবন মানে কি।

৮. প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো সমুদ্র, যে সমুদ্র ছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অচল।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে ছন্দ

পশুপাখির কলরবে যেমন প্রকৃতি আরো বেশি হেসে ওঠে, ঠিক তেমনি প্রকৃতিকে একবার ভালোবেসে দেখো কখনো ঠকবে না।

প্রকৃতিকে একবার গভীরভাবে তাকিয়ে দেখো তাহলে আরো বেশি কিছু বুঝতে পারবে।

প্রকৃতি আসলে এমনই তার সাথে যে যেমন ব্যবহার করে, প্রকৃতিও তার সাথে তেমন ব্যবহার করে।

ওরে আকাশ, চারদিকে সবুজের মাঠ আর পাখির কন্ঠে গান সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার দান। কি অপরূপ মায়াবী এই পৃথিবী প্রকৃতিতে শুধু তাকিয়ে থাকতে মন চায়।

কঠিন পরিস্থিতিতে বোঝা যায় যে প্রকৃতিগত শান্ত এবং নিজেকে কতটা সঙ্গ দেয় প্রকৃতি।

প্রকৃতির মায়ায় পড়লে কখনো সে মায়া ভুলতে পারবে না, একবার মায়া করে দেখো সেও তোমাকে ছাড়বে না।

সর্বশেষ কথাঃ 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে যে উক্তি স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরা হয়েছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে যে অবদান গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে মানুষ এর মধ্যে কিছু ধারনা আনার জন্য এই পোস্টটি লেখা। এরকম আরো পোস্ট পেতে ভিজিট করুন আশা করি এরকম আরো অনেক ভালো ভালো পোস্ট পেয়ে যাবেন।