একজন বাংলাদেশী হিসেবে ১৮ বছর বয়স হলে তাকে ভোটার হতে হয়। তো আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে বা কি কি করতে হয়। তো আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে এবং কিভাবে ভোটার হতে হয়। তো যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান, তারা ভোটার আইডি কার্ড করার আগে অবশ্যই ভাবেন যে ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে এ সকল বিষয়ে জানতে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন এবং এবং জানুন নতুন নিয়মে ভোটার হতে কি কি লাগে।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে
যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে চান তাদের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে যে ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগতে পারে। এনআইডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড যেটাই বলেন না কেন, এই কার্ড করতে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন। জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড একটি দেশের নাগরিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেই ক্ষেত্রে নতুন কোন ব্যক্তির ভোটার নিবন্ধন করার আগে নিশ্চিত করতে হয় যে সে বাংলাদেশি একজন নাগরিক কিনা এবং নতুন ভোটার আবেদনকারী পূর্বে কোথাও ভোটার হতে ছিল কিনা সেটাও নিশ্চিত করা হয়। তো যাই হোক আমাদের ভোটার হওয়ার আগে যে নিয়ম কারণ বা যে কাগজপত্র লাগে সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে ২০২৩
নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন বা এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে, সর্বনিম্ন ১৬ বছর হতে হবে তার নিচে হলে ভোটার আবেদন করা সম্ভব নয় এবং আগে কখনো ভোটার এর নিবন্ধন করেননি। এখন যদি বলেন যে এগুলো কিভাবে তারা চেক করবেন। অবশ্যই কিন্তু বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে সবারই কোনো না কোনো ডকুমেন্ট বা পরিচয় পত্র থাকে, সে ডকুমেন্টস দ্বারা অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদনের আগে সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে তারপর আপনার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে
তো যাই হোক আমরা কিন্তু জেনে নিলাম যে নতুন ভোটার হওয়ার আগে আমাদের কোন কোন বিষয়ে জানা উচিত এবং কি কি নিয়ম এর মধ্যে আমাদের অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে বা কোন কোন যোগ্যতার উপর আমাদের সকল কিছু যাচাই-বাছাই করা হয়। তাহলে চলুন এখন দেখে নেয়া যাক নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে।
১. জন্ম নিবন্ধন এর একটি ফটোকপি
২. শিক্ষাগত যোগ্যতার বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেট।
৩. পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
৪. রক্তের গ্রুপের পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্যই সরকারি হসপিটালের হতে হবে।
৫. নাগরিকত্ব সনদ অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি সবারই বাধ্যতামূলক। এটিকে বলা হয় চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন পত্র।
৬. অঙ্গীকারনামা।
৭. স্বামী / স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
৮. ইউটিলিটি বিলের মধ্যে গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল যেকোনো একটি হলেই হল, এগুলোর যেকোনো একটির ফটোকপি।
৯. পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি।
১০. হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদের একটি ফটোকপি।
তাহলে আপনারা উপরে দেখতেই পাচ্ছেন যে নতুন ভোটার হতে কি কি কাগজপত্র লাগে। তো আপনারা যারা নতুন ভোটার হতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই উপরের দেয়া এই কাগজপত্রগুলো সাথে করে নিয়ে যাবেন।
আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
যারা নতুনের ভোটার হতে চাচ্ছেন বা হবেন তাদের আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে ভোটার হতে কত টাকা লাগে বা এর সঠিক টাকার পরিমান কত। এটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই তো আপনারা উপরে অবশ্যই দেখেছেন যে নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে তাহলে এখান থেকে দেখে নিন যে নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে। আমরা সবাই জানি যে বর্তমানে অনলাইনে এর মাধ্যমে সকল কার্যক্রম হয়ে থাকে, তো সেই ক্ষেত্রে অনেক ধরনের জালিয়াতি বা ধোকাবাজদের পাল্লায় পড়ে অনেকেই মেন্টালি টর্চার হয়ে থাকে। তাই এখন নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে সার্চ করে দেখে নিতে পারবেন যে নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে।
অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কোন টাকা লাগে না তবে যদি আইডি কার্ডের মধ্যে কোন ভুল থাকে তাহলে সংশোধন করতে ২৩০ টাকা এর সাথে ১৫% কর সহ যে টাকা হবে সেই টাকা দিতে হবে। এবং অন্যান্য যে সকল তথ্য সংশোধন করবেন তার জন্য ১১৫ টাকা দিতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করুন তাহলে আশা করি যে নতুন ভোটার হতে কি কি কাগজপত্র লাগে, নতুন ভোটার হতে কত টাকা লাগে এবং আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে এ সকল বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আরো বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পোস্ট পেতে ভিজিট করুন আশা করি পেয়ে যাবেন।