নেপাল হল বাংলাদেশের একটি প্রতিবেশী দেশ যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা একটি হিমালয় পর্বতের দেশ। এভারেস্টের দেশ হল এই নেপাল এখানে প্রতিবছর লাখো মানুষের ভ্রমণের জায়গা। এই ঐতিহাসিক ও হিমালয়ের দেশ নেপালের কিছু দর্শনীয় স্থানগুলোর সংক্ষিপ্ত বিশেষ কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
নেপালের দর্শনীয় স্থান সমূহ
নেপালের যে কয়েকটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে হচ্ছে লুম্বিনী, ইলম, পুন হিল ট্রেক, ধুলিখেল, ভক্তপুর, অন্নপূর্ণা, কাঠমুন্ডু, চিন্তাফ ট্রেক, তিলিচো লেক, ল্যাংট্যাং ভ্যালি ট্রেক ইত্যাদি। এই সকল দর্শনীয় স্থানগুলোর সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য নিচে লেখা হলো।
লুম্বিনী
এই লুম্বিনী নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে রুপান্দি জেলায় অবস্থিত। এই লুম্বিনী শহরে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান, একটি বৌদ্ধ ধর্মের তীর্থস্থান। এই পবিত্র স্থানটিকে বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা খুব যত্ন এবং দায়িত্ব সহকারে প্রণীত ছোঁয়ায় রাখে। এই শহরটির রাস্তা ভারত এবং নেপালের সংযোগের প্রধান রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
পুন হিল ট্রেক
নেপালের একটি শহর গোরেপানির কাছেই একটি পাহাড়ের চূড়য়, যে পাটের উচ্চতা প্রায় ৩২১০ মিটার। পাহাড়টির সুন্দরী এতই বেশি যে উপরে উঠলে মনে হবে যে আকাশের সাথে মিশে গেছি। নেপালের হিমালয়ের অন্নপূর্ণা রেঞ্জের অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে অবশ্যই এই জায়গাটিতে যেতে হবে।
ধুলিখেল
নেপালের কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে পোখারা গিয়ে সেখান থেকে কিছুদূর যেতেই সামনেই এই ধুলিখেল শহরটি চলে আসবে। এই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য বিশেষ একটি দর্শনীয় স্থান। এই ধুলিখেল এর পাশেই রয়েছে ‘গান্ধা মাল্লা’ এটি হলো অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পবিত্র স্থান।
ভক্তপুর
এই জায়গাটি হল নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকায় অবস্থিত, এটি হল নেপালের সবচেয়ে ছোট একটি জেলা। নেপালের কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই এই জেলাটি, প্রাচীন রাজাদের বাসস্থান ছিল এই ভক্তপুর জেলায়। এই জেলা জুড়ে রয়েছে শুধু প্রাচীন ঐতিহ্যের পুরনো স্থাপনা।
অন্নপূর্ণা
এই জায়গাটি নেপালের একদম স্থানে অবস্থিত একটি পাহাড়ের চূড়ায় এর উচ্চতা প্রায় ৭২০০ মিটার, পৃথিবীর মধ্যে উচ্চতার দিক দিয়ে দশম স্থানে রয়েছে। এই পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে দেবী অন্নপূর্ণার সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্দির। এ জায়গাটি নেপালের প্রথম ও সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত অঞ্চল।
কাঠমুন্ডু
নেপালের রাজধানী হল এইট কাঠমান্ডু। কাঠমান্ডু হল একটি মেট্রোপলিটন অঞ্চল যার মধ্যে রয়েছে কয়েকটি শহর যেমন ললিতপুর, ভক্তপুর, কীর্তিপুর, টুন্ডিখেল আরো কয়েকটি জেলার নিয়ে এই রাজধানী গঠিত হয়েছে। কাঠমান্ডু হল মন্দিরের শহর নামে বেশি পরিচিত, মন্দিরের মেলা বলেও অনেকে চিনেন। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ এই জায়গাটিতে ভ্রমণ করতে আসে।
চিন্তাফু ট্রেক
চিন্তাফু ট্রেক এ খুব কম সংখ্যক মানুষ ভ্রমণ করে থাকে। এই পাহাড়টি নেপালের কাঠমান্ডুর সাথেই অবস্থিত । এই পাহাড়টিতে রাতের জোছনার সৌন্দর্য উপভোগ কর করা যায় এবং মার্চ-এপ্রিলের দিকে এই পাহাড়টিতে কিছু ফুল ফোটে, এই ফুলগুলোর যে সুগন্ধ একেবারে পাগল করার মত এবং দেখতে খুবই সুন্দর।
তিলিচো লেক
এই লেকটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর থেকে কিছু দূরে যেতেই মনাঙ জেলায় অন্নপূর্ণা পার্বত্য অঞ্চলে দিকে অবস্থিত। এই লেকটিকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ হ্রদ বিবেচনা করা হয়। এই তিলিচো লেকটির দুই পাশে রয়েছে হিমালয় পর্বত, এ জায়গায় অনেক সময় তুষারপাতের জন্য এই জায়গাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ল্যাংট্যাং ভ্যালি ট্রেক
নেপালের একটি জনপ্রিয় ট্রেকিং রুট তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত এই ল্যাংট্যাং ভ্যালি ট্রেক। এই পাহাড়টিকে বলা হয় বরফের রাজ্যের পাহাড়। এর উচ্চতা প্রায় ৩৫০০ মিটার, চারো দিকে রয়েছে পাহাড়ি বস্তি এবং গোসাইকুণ্ড নামের হাই আলটিচুড লেক সে যেন এক অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য ও ভালো লাগার মত একটি জায়গা।
সর্বশেষ কথাঃ
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে তথ্যগুলো লেখা হয়েছে সকল তথ্যই সঠিক। এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করবেন। আরো বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের তথ্য পেতে এই সাইটে ভিজিট করুন আশা করি সকল তথ্য গুলো একদম সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।