আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে বর্তমানে বাংলাদেশের খাজনা বা কর না দিলে কি কি হতে পারে। এবং খাজনা কত বছরের মধ্যে না দিলে জমি খাস হতে পারে। এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পুরো পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। আশা করি আপনারা খাজনার যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে নিচ থেকে দেখে নিন খাজনা সংক্রান্ত সকল তথ্য।
কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়
বাংলাদেশের নতুন আইনে নতুন নিয়মে খাজনার যে আইন করা হয়েছে তা আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। তিন বছরের মধ্যে যদি আপনারা আপনাদের জমির কোন খাজনা না দেন তাহলে আপনাদের জমি খাস হতে পারে। বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, মোঃ খলিলুর রহমান নতুন আইনের অধীনে এই নিয়মটি চালু করেছেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে সরকার প্রত্যেক জমির মালিক কে ভূমির মালিকানা সনদ দিবে। এই সনদটি ভূমির মালিকানা নির্ধারণে চূড়ান্ত দলিল হিসেবে থাকবে। এই সনদটির মাধ্যমে আপনারা সহজেই আপনার জমির সকল তথ্য যাচাই করতে পারবেন। জমির ক্ষেত্রে এই সনদটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হতে পারে
আপনারা হয়তো উপর থেকে খাজনা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছেন যে, সঠিক সময়ে খাজনা না দিলে জমি চাষ হতে পারে। নিয়মিত খাজনা না দিলে অর্থাৎ টানা তিন বছর যদি খাজনা না দেওয়া হয় তাহলে আপনার জমি খাস হতে পারে। তাই এ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং আপনাদের যে প্রতিবেশী মানুষগুলো আছে তাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিবেন যাতে তাদের এই বিশাল বিপদের সম্মুখীন না হতে হয়।
জমির খাজনা বা কর মানুষ আগে অতটা গুরুত্ব দিতো না, কিন্তু বর্তমানে এই খাজনা না দিলে আপনার জমি হতে পারে ঘাস। তাই আমরা এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকবো এবং সঠিক সময়ের মধ্যে খাজনা দিব। এবং বিশেষ আরেকটি কথা হচ্ছে এখন ভূমি অফিস বা কাচারিতে গিয়ে আপনাদের আর খাজনা দিতে হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি আপনার খাজনার কাজ সেরে ফেলতে পারবেন।
জমির খাজনা না দিলে কি হয়
জমির খাজনার যে সঠিক নিয়মটি সেটি হল বাংলা সনের তারিখ হিসেবে গণনা করা হয়। মানে চৈত্র মাসের ৩০ তারিখের পর থেকেই বৈশাখ মাসের শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আপনার খাজনা বকেয়া বলে গণ্য হতে থাকবে। বকেয়া হলে সেই খাজনা বা করে সঙ্গে আপনাকে এক্সট্রা ৬% থেকে ৭% সুদ দিতে হবে। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে বর্তমানে খাজনার ব্যাপারে কতটা গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের।
তো আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যে সঠিক সময়ে খাজনা না দিলে কি হতে পারে। তাহলে আপনারা সঠিক সময়ে খাজনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন অবশ্যই। তা না হলে আপনাকে খাজনার টাকার সাথে জরিমানা দিতেই হবে। এবং বিশেষ আরেকটি কথা হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিষদ থাকলে আপনার জমি নিলাম হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজ লাগে
বাংলাদেশ সরকার জমির খাতনার জন্য সাধারণ জনগণের ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এখন অনেকে আছেন যারা যে খাজনা সম্পর্কে অতটা ধারণা নেই বা কখনো জমির খাজনা নিয়ে কোন ঘাটাঘাটি করেননি। বর্তমানে জমির খাজনার জন্য খুব করা আইন করা হচ্ছে। হয়তো কম বেশি সবাই জানেন, অনলাইন এর মাধ্যমে কিভাবে জমির খাজনা দিবেন এবং কি কি কাগজ লাগতে পারে।
১. প্রথমেই জমির সর্বশেষ যে খতিয়ান বা পর্চা সেটা লাগবে এবং যার নামে খতিয়ান বা পচা তার জাতীয় পরিচয় পত্রের আইডি কার্ড ও তার একটি মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে।
২. তারপর আপনাকে বাংলাদেশ অফিশিয়াল খাজনার ওয়েবসাইটে http//idtax.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটটিতে ঢুকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলে নিতে হবে।
৩. ওয়েব সাইটটিতে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনার যে মোবাইল নাম্বার দিবেন, সেই মোবাইল নাম্বারে একটি OTP নাম্বার আসবে। সেই OTP নাম্বার দিয়ে খাজনার ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট চালু হবে।
৪. তারপর আপনার পরবর্তী সকল কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করবেন।
সর্বশেষ কথা
তো আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়েছেন আশা করি কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয় এবং খাজনা ও কর সংক্রান্ত আরো অনেক তথ্য পেয়েছেন। এই পোস্টটি শেয়ার করলে যদি মনে করেন যে অন্য একটি ভাই অথবা বোনের উপকার হতে পারে। তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করবেন। এবং এই সাইটটিতে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট।