জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩

জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম 

আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে, জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম এবং কিভাবে খাজনা দেব, খাজনা দেওয়ার রশিদ বের করার নিয়ম ও খাজনা না দিলে কি হতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের অনলাইন খাজনার যে নতুন নিয়ম অধিকাংশ মানুষই জানেন না। যে কিভাবে খাজনা দিতে হয়। তাহলে আপনারা খাজনা বা কর বিষয়ক সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আশা করি খাজনা দেওয়ার যে নিয়ম বা খাজনা বিষয়ক আরো বিভিন্ন ধরনের নিয়ম কারণ আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম 

যারা ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা দিতে বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন। তাদের জন্য বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা বা কর পরিষদের নিয়ম জারি করেছেন। এখন থেকে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে জমির খাজনা বা কর দেওয়া যাবে এবং আপনারা চাইলে সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা দিতে পারবেন।

এখন যদি আপনি ভাবেন যে অনলাইনের মাধ্যমে কিভাবে খাজনা দেব। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে  http//idtax.gov.bd/ এই ওয়েব সাইটটিতে ঢুকে আপনাদের যার নামে জমি রেজিস্ট্রি করা আছে তার এন আই ডি কার্ড ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে ওয়েবসাইটে একটি সাইট খুলে নিতে হবে। তারপর আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা বা কর দিতে পারবেন।

জমির খাজনা কিভাবে দেব

আপনারা অবশ্যই জানেন যে জমির খাজনা নিয়মিত পরিশোধ করলে সেই জমিতে কোন জটিলতা সৃষ্টি হয় না। যদিও কোন সমস্যা হয় তাহলে খাজনার রশিদ নিয়ে আইনের আওতায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে জমির খাজনা কিভাবে দিবেন। উপরে অবশ্যই পড়েছেন যে অনলাইনের মাধ্যমে বা সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে খাজনা দিতে পারবেন। যার যার সুবিধা অনুযায়ী যে যেখানে পারবে সেখানেই খাজনা দিতে পারবে।

খাজনা দেওয়ার জন্য অবশ্যই জমির খতিয়ান বা পর্চা, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে। তা না হলে খাজনা বা কর দেওয়া যাবে না। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যে খাজনা বা কর কিভাবে দিবেন বা কিভাবে দিতে হয়।

আরো জানুন, 

জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ 

আপনাদের যার যার জমি আছে, সেই জমির উপর প্রতিবছর খাজনা পরিশোধ করতে হয় এটা তো সবারই জানা আছে। বর্তমানে সরকারের একটি রাজস্ব আদায়ের উৎস হল এই ভূমি আয়কার। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই এ বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত যে প্রতিবছর সঠিক নিয়মে সঠিক সময়ে কর বা খাজনা দেওয়া উচিত। আপনারা যে জমির উপর খাজনা দিবেন, সেই জমির উপর দাখিলা বা রশিদ কেটে দিবে, সেই রশিদ আপনি নিয়ে চলে আসবেন এবং সেটাই হলো জমির খাজনা দেওয়ার রশিদ।

খাজনা রশিদ বের করার নিয়ম

যদি অনলাইনের মাধ্যমে খাজনা বা কর দিতে চান তাহলে ভূমি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদরা আপনাদের কাছ থেকে খতিয়ানের দাগ নাম্বার নিয়ে দেখবে যে আপনার খাজনা কত টাকা হয়েছে। তারপর সে অনুযায়ী আপনাকে খাজনা দিতে হবে। এবং আপনারা যদি বকেয়া খাজনা পড়ে শোধ করতে চান অথবা অগ্রিম খাজনা দিতে চান আপনি যেটাই করুন না কেন পারবেন।

তাহলে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে খাজনা রশিদ বের করা হয়। আপনারা চাইলে দুইটি নিয়মেই খাজনা দিতে পারবেন এবং আপনারা কিভাবে খাজনা দিবেন বা খাজনা দেওয়ার জন্য কি কি লাগে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

জমির খাজনা না দিলে কি হয়

জমির খাজনা না দিলে কি হতে পারে বা কি হয়। বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে তিন বছরের বেশি সময় ধরে খাজনা বা কর না দিলে জমি খাস হিসেবে গণ্য হবে। তাহলে আপনারা অবশ্যই সঠিক সময়ে ভূমি অফিসই হোক বা অনলাইনের মাধ্যমেই হোক না কেন খাজনা ঠিক সময়মতো পরিশোধ করবেন।

খাজনা যদি বকেয়া হয়ে যায় তাহলে খাজনার সাথে জরিমানা সহ খাজনা দিতে হবে। খাজনার সাথে জরিমানা হতে পারে ৬% থেকে ৭%। আবার বলে দিচ্ছি যে অবশ্যই আপনারা সঠিক সময়ের খাজনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার জমির উপর কোন ঝামেলা হবে না এবং কি সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে।

সর্বশেষ কথা

আপনারা যদি এই পোস্টটি পুরোপুরি থাকেন তাহলে আশা করি খাজনা বা কর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। যদি মনে করেন যে এই পোস্টটি অন্য আরেকটি ভাই অথবা বোনের জন্য উপকারে আসতে পারে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আরো বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে সাইটটিতে ভিজিট করুন।