আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া সর্বশেষ মূল্য। তো আপনারা যারা বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা খোঁজ করছেন তারা চাইলেই এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারবেন বর্তমান বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া মূল্য। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে চলুন দেখে নেই বাংলাদেশ তো চায়নার বর্তমান বিমান ভাড়া সম্পর্কে।
বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া
বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া বলতে আসলে ঢাকা টু চায়না বিমান ভাড়া বলা চলে কারণ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে চায়নার কোন ফ্লাইট নেই। ঢাকা থেকে চায়না ফ্লাইট চলাচল করে থাকে। তো যাই হোক আপনারা ঢাকা টু চায়না বিমান ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ঢাকা টু চায়না বর্তমান বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানতে পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
তো আমাদের বিমান ভাড়া সম্পর্কে জানার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে চায়না কোন কোন এয়ারলাইন্স ও এয়ারওয়েজ গুলো চলাচল করে থাকে এবং সেই এয়ারলাইন্স বা এয়ারওয়েজ গুলোর ভাড়া কত। তাহলে চলুন দেখে নেই বাংলাদেশ থেকে চায়না কোন কোন এয়ারলাইন্স বা এয়ারওয়েজ গুলোর ফ্লাইট চলাচল করে থাকে।
- চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স
- চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স
- এয়ার চায়না
- থাই এয়ারওয়েজ
আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে ঢাকা থেকে চায়না কয়টি এয়ারলাইন্স বা এয়ারওয়েজ চলাচল করে থাকে। তো এগুলোর মধ্যে কোন বিমানটি সবচেয়ে ফাস্ট এবং ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে, চায়না এস্ট্রান এয়ারলাইন্স এই বিমানটির ফ্লাইট দ্রুত এবং কোন বিরতি ছাড়াই ঢাকা থেকে সরাসরি চায়নাতে ফ্লাইট চলে। অবশ্য দাম একটু বেশি হবে কিন্তু অন্যান্য যে এয়ারলাইন্সগুলো রয়েছে, সে গুলোর থেকে ভালো এই চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স বিমানটি।
চায়না আরেকটি নতুন বিমান তৈরি করছেন তাদের নিজের উদ্যোগে, সেটা তাদের সবচাইতে বড় সাফল্যের একটি। বিমান টির নাম হচ্ছে C 919, এই বিমানটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চায়নার কয়েকটি পত্রিকায়। এ বিমানটিতে অনেক সুবিধা দেবে যেহেতু নতুন, বিমান ভাড়া সম্পর্কে আসলে ওইভাবে সঠিক ভাবে বলা যায় না, কারণ বিমান ভাড়ার যে মূল্য এক এক মাসের ভাড়া এক এক রকম হয়ে থাকে অর্থাৎ কোন মাসে কম আবার কোন মাসে বেশি। তাই আপনারা চাইলে উপরে দেওয়া যে এয়ারলাইন্সগুলো রয়েছে, সেগুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বর্তমান ভাড়ার মূল্য জেনে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে চায়না যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে চায়না যেতে কত সময় লাগতে পারে, এখানে বলতে গেলে দুইটি প্রশ্ন রয়েছে যেমন আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে চায়না সরাসরি যেতে চান তাহলে শুধুমাত্র একটি বিমানে আছে যেটি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি চায়না ফ্লাইট রয়েছে। বিমানটির নাম হচ্ছে চায়না এস্ট্রান এয়ারলাইন্স।
এই এয়ারলাইনসটি বাংলাদেশ থেকে চায়না যেতে সময় লাগে ২ ঘন্টা ২০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট। এবং বাকি যে এয়ারলাইনগুলো রয়েছে সেগুলোতে অনেক সময় লাগে ১৪ ঘন্টা থেকে ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায় অন্যান্য যে সকল এয়ারলাইন্সগুলো রয়েছে সেগুলোতে। তো আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশ থেকে চায়না যেতে কত সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব কত কিলোমিটার
বাংলাদেশ থেকে চায়না এর দূরত্ব হচ্ছে ৫,৬৯৮ কিলোমিটার। আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি চায়না যান তাহলে এর দূরত্ব আরো কম হবে। আসলে বাংলাদেশ থেকে চায়না বিরতিহীন ফ্লাইট শুধু একটিমাত্র এয়ারলাইন্স হয়ে রয়েছে, বিরতিহীনভাবে যদি চায়না থেকে বাংলাদেশের অথবা বাংলাদেশ থেকে চায়নার দূরত্ব হিসাব করেন তাহলে আরো কম কিলোমিটার হবে। ওয়ান স্টপ, টু স্টপ অর্থাৎ বিরতি সহ বাংলাদেশ থেকে চায়না দূরত্ব হচ্ছে ৫,৬৯৮ কিলোমিটার।
চায়নার ১ টাকায় বাংলাদেশের কত টাকা
বর্তমান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হচ্ছে চায়না, কারণ বিশ্বের এমন কোন দেশ নেই যে তাদের কোন জিনিসপত্র অন্য কোন দেশের নেই। তো যাই হোক আজকের চায়নার এক টাকায় বাংলাদেশের কত টাকা সেটাই তুলে ধরা হবে। আমরা আগে জেনে নিব যে চায়নার টাকার নাম কি, চায়না টাকার নাম হচ্ছে ইয়ান। তাহলে চায়নার ১ ইয়ান = বাংলাদেশের ১৫.২২৬ টাকা। তো আশা করি যে চায়নার এক টাকায় বাংলাদেশের কত টাকা সে বিষয়ে জানতে পেরেছেন।
সর্বশেষ কথা
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আপনারা যারা এই পোস্টটি সম্পন্ন করেছেন, আশা করি যে বাংলাদেশ টু চায়না বিমান ভাড়া সহ চায়নার আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পেরেছেন। তো যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ।