যতদিন যাচ্ছে ততই এই পৃথিবী উন্নত হচ্ছে এবং সেই উন্নত বিশ্বের সাথে সাথে প্রযুক্তির দিক দিয়ে আরো বেশি উন্নত হচ্ছে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন অনেক বেশি উন্নত মানের হচ্ছে, তাই আপনারা যদি বাজারে নতুন ফোন কিনতে যান তাহলে ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে তারপর মোবাইল কিনবেন, না হয় ঠকে যেতে পারেন। আপনাদের জন্য আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে মোবাইল ফোন সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হবে। আপনারা যদি অনুগ্রহ পূর্বক সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাহলে আশা করি ফোন সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে যাবেন।
১. মোবাইল ফোনের র্যাম
যখন একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তখন বিভিন্ন রকমের কাজ করতে হয় কোনটির মাধ্যমে। এখন মনে করুন আপনি একটি ভিডিও প্লে করলেন বা অন্যান্য যাবতীয় কাজ করতে লাগলেন সেই সময় আপনার ফোন যদি হ্যাং হয়ে যায় তখন কি করবেন। আপনি যেই কাজ করেন না কেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সকল কিছুর মধ্যে র্যাম ব্যবহার হবে। আপনি ছোটখাটো যতটুকুই কাজ করেন র্যাম এর জায়গা নিয়ে নেবে।
যদি ফোনটিকে হ্যাং কিংবা মোবাইল ফোন থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে ফোনের র্যাম বেশি হওয়া অনেক জরুরী। ফোনের র্যাম যদি বেশি হয় তাহলে সকল ধরনের কাজ করে অনেক হালকা ফিল হবে। তাছাড়া ফোনের র্যাম যদি বেশি হয় তাহলে আপনার ফোনটি অনেক দ্রুত কাজ করবে এক কথায় অনেক ফাস্ট সকল কিছু কাজ করে দেবে কমান্ড মেনে।
যদি ভালোভাবে ফোন ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই 3gb থেকে 8gb র্যাম থাকা মোবাইল ফোন কিনতে হবে। যখনই আপগ ১ জিবি থেকে ২জিবি র্যাম ফোন ব্যবহার করবেন মনে রাখবেন কিছুদিন পরপর মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে সমস্যা দেখা দেবে।
২. মোবাইল ফোনের স্ক্রিন এবং ডিসপ্লে
মোবাইল ফোন কেনার সময় অবশ্যই মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে যত বড় হবে ততো আপনাদের জন্য ভালো।আসলে এটা আপনার জন্য সঠিক হতে পারে। কিন্তু মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে বড় নেয়ার আগে আপনাকে জানতে হবে সেই মোবাইল ফোনটির ডিসপ্লে এইচডি না ফুল এইচডি এগুলো দেখা খুবই জরুরী। আপনি ফোন কিনতে গিয়ে দেখলেন একটি ফোনের ডিসপ্লে অনেক বড় তাই বলে কি সেটাই নেবেন।
যখন ফোনটি কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই এইচডি বা ফুল এইচডি ডিসপ্লে দেখে আপনি মোবাইল ফোন কিনবেন। কেননা এর ডিসপ্লে গুলোতে আপনি চোখের ক্ষেত্রে অনেক ভালো সুবিধা পাবেন এবং বিভিন্ন প্রকার প্রেম খেলতেও আপনার ভালো লাগবে। এই গুলো দেখে ফোন নিলে ফোনগুলোর কোয়ালিটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তাই মোবাইল ফোনটি যখন আপনি কিনবেন তখন অবশ্যই দেখে দেবেন সেই ফোনটি ফুল এইচডি না হলেও যাতে করে এইচডি হয়।
ফোনের স্ক্রিন রেজুলেশন দেখে কিনবেন যতই স্কিন রেগুলেশন বেশি হবে ততই আপনি ফোনটি ব্যবহার করে মজা পাবেন। আপনি যত বড় ডিসপ্লে ফোনের ব্যবহার করতে চান না কেন আপনাকে এই সকল বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে সেই ফোনটি নিতে হবে যাতে করে আপনি আপনার মনের মত করে ভিডিও দেখা কথা বলা এবং গেম খেলা আরো নানান ধরনের কাজ করতে পারেন আপনার সুবিধা মত।
৩. মোবাইল ফোনের কিছু সেটিংস
যখন একটি মোবাইল ফোন কিনবেন তখন অবশ্যই মোবাইল ফোনের কিছু সেটিংস দেখে কিনবেন। সেই সেটিংস গুলো হলঃ-
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক (Fingerprint unlock)
- ফেস আনলক (Face unlock)
- ইউএসবি ওটিজি সাপোর্ট (USB OTG support)
- ওয়াই ফাই হটস্পট (Wi-Fi hotspot)
- অ্যাপ ক্লোন (App Clone)
- লেটেস্ট এন্ড্রয়েড ভার্সন (Latest Android version)
এসকল বিষয় দেখে যদি আপনি আপনার ফোন কিনেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ফোনটি লেটেস্ট পেয়ে যাবেন এবং আপনার ব্যবহার করতে অনেক সুবিধা হবে।
৪. ব্যাটারি পাওয়ার
ধরুন একটি মোবাইল ফোন কিনলেন কিন্তু সেই মোবাইলটিতে ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো নয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে সেই সময়টাতে নিচে খারাপ লাগবে। ফোন কেনার সময় একটি বিষয় খেয়াল রেখে ফোন কিনতে হবে যাতে আপনি ফোন ব্যবহার করলে অনেক সময় ধরে চার্জ যায়। আপনি যখন ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো নেবেন তখন আপনার ফোনটি ব্যবহার করে আপনি অনেক মজা পাবেন আনন্দিত হবেন ব্যাটারি ভালো মানের হলে চার্জ বেশিক্ষণ যাবে ।
মোবাইল ফোন কেনার পর সেই মোবাইল ফোন দিয়ে কি করবেন ধরুন আপনি আপনার মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখবেন ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন গেম খেলবেন তাহলে এগুলো ক্ষেত্রে মোবাইলের চার্জ অনেক কম যাবে। এবং এগুলো করার ফলে আপনার মোবাইলে ফোনের চার্জ কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার মোবাইল ফোন কোন কোন চার্জ দিতে হবে। এই ঘন ঘন চার্জ দেয়ার কারণে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যেতে থাকে।
এগুলো সমস্যা যাতে আপনার না পড়েন সেই জন্যই আগে থেকে আপনাকে একটি ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাটারি আলা ফোন কিনতে হবে সর্বনিম্ন ৪০০০ এম্পিয়ার । এর চেয়ে বেশি হলে আপনার পক্ষে ভালো। ফোন ব্যবহার করার জন্য আপনাকে এটি দেখে ফোন করায় করতে হবে তাহলে আপনি ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাবেন।
৫. মোবাইল ফোনের প্রসেসর
একটি মোবাইল ফোনে যেমন র্যাম বেশি থাকা প্রয়োজন তেমনি প্রসেসর ও বেশি থাকা প্রয়োজন। কেননা মোবাইল ফোনে যদি বেশি র্যাম থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে যদি মোবাইল ফোনের প্রসেসর অনেক কম হয় তাহলে মোবাইল ফোনটি অনেক স্লো কাজ করবে। সেই কারণে ফোনের র্যাম বেশি ব্যবহার হলেও প্রসেসর থাকাটা অনেক প্রয়োজন।
মোবাইল ফোনে প্রসেসর যত বেশি হবে তত সকল কাজ করে সহজেই সে কাজটি সম্পন্ন করা যায়। কোন প্রকার হ্যাং বা স্লো না হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রসেসর দেখে মোবাইল কিনতে হবে। সর্বনিম্ন মোবাইল ফোনের প্রসেসর 1.5 GHZ এর বেশি যেন থাকে। 2 GHZ হলে আপনার মোবাইল ফোন অনেক দ্রুত কাজ করবে।
৬. মোবাইল ফোনের ক্যামেরা
আপনারা অনেকেই আছেন যারা মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের ভালো ক্যামেরা যুক্ত ফোন কিনতে হবে। এখনকার যুগের ফোনগুলোতে অনেক ভালো ভালো ক্যামেরা দিয়ে থাকে যেগুলো দিয়ে আপনার ফটো তুলতে অনেক সুবিধা হবে। আপনি চাইলে ৮ মেগাপিক্সেল ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত এসব ফোন ব্যবহার করতে পারেন। এসকল ফোন যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি ফটো তোলার পরেও সেই ফটোগুলো দেখতে খারাপ লাগবে না।
এককথায় আপনার সেই ফটোগুলো এইচডি কোয়ালিটির দেখাবে। আপনি চাইলে আরো বেশি মেগাপিক্সেলের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার আরো বেশী সুবিধা হবে। তাই আপনি যখন ফোন কিনবেন এসকল বিষয় ভেবে চিন্তে তারপরে ফোন কিনবে।
৭. মোবাইল ফোনের ডিজাইন বা স্টাইল
মোবাইল ফোনের ডিজাইন স্টাইল আপনি কেমন ব্যবহার করবেন সেটা আপনার উপর একান্ত নির্ভর করবে কিন্তু তারপরও আপনি যখন আপনার মোবাইল ফোন কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই ফোনটির বডি স্লিম এবং সুন্দর কালার দেখে বেছে নেবেন। এমনিতেও মোবাইল ফোন গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয় তারপরেও আপনি যখন ফোনটি কিনতে যাবেন তখন সকল বিষয়ের উপর খেয়াল রেখে মোবাইলটি ক্রয় করবেন।