মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, বাণী ও কবিতা

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, বাণী ও কবিতা খুঁজে থাকেন ফেসবুক স্ট্যাটাস হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু নতুন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উক্তি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্ট্যাটাস, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ক্যাপশন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছন্দ, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কবিতা তুলে ধরা হবে। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ছন্দ, বাণী, ক্যাপশন ও কবিতা। 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উক্তি

 

১. মুক্তিযুদ্ধের সেই মহানায়করা তাদের জীবনের বিনিময়ে দিয়ে গেছেন আমাদের এই বাংলাদেশ। 

২. ওদের ছিল না কোন ভয়, ছিল না প্রাণ হারাবার ভয়। হয় লক্ষ্য ছিল একটাই এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো। 

৩. বিজয়ের পতাকা ওড়াবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের পরোয়া না করে দিনরাত পাক হানাদার বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করে গেছেন। 

৪. পাক হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের।  

৫. মুক্তিযোদ্ধারা কি ভেবেছিল যে এ দেশ স্বাধীন হবে, মুক্তিযোদ্ধারা কখনো ভেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনা। 

৬. ভয়কে জয় করেই একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশকে স্বাধীন করার জন্য তার জীবনকে বিলিয়ে দেয়। 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উক্তি 

১. গরিবের উপর অত্যাচার করলে একটা কথাই মনে রেখো আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে। 

২. প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই, আমার ইচ্ছে একটাই এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো এবং তাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দেব। 

৩. আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

৪. ওরে রাজাকারের দলেরা তোরা আমার দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের থামিয়ে রাখতে পারবি না। দেশকে স্বাধীন করেই ছাড়বো ইনশাল্লাহ। 

৫. মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই হয় না, আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হবে। পায়খানাদার বাহিনীদের সাথে লড়তে হবে। 

৬. বাংলাদেশ আছে বাংলাদেশ থাকবে আমার এই দেশের মুক্তিযোদ্ধারা যতদিন বেঁচে আছে। 

৭. বাংলার মাটিতে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্ট্যাটাস

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্ট্যাটাস

 

* এদেশের মানুষের মুখ দেখেছি আমি, তাদের এই মায়াবী মুখ দেখে জীবনে আর কিছু খুঁজতে যায়নি কোথাও। 

* মাগো তোমার ভাবনা কেন, ভয় নেই তোমার, আমরা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে জানি তোমার কোলেতে এনে দেবো মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতার দেশ। 

* যে জায়গা থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেখানে আজও শোনা যায় শহীদদের জয় ধ্বনি ও চিৎকার। 

* স্বাধীনতা কখনোই স্বাধীন ছিল না অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীন দেশ। 

* স্বাধীনতা তুমি, শহীদদের রক্তে মাখা উজ্জ্বল দিনের অপেক্ষায় কাটিয়ে দিয়েছিলে নয় মাস। 

* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিল এদেশের মানুষের ভালোবাসার মায়া আমি ছাড়তে পারবো না, তাইতো দিয়েছিল স্বাধীনতার ডাক। সেই ডাকেই তো মুক্তিযোদ্ধারা করেছে এ দেশকে স্বাধীন। 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছন্দ 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছন্দ 

ওরে তোরা শুনবি নাকি আয়, মুক্তিযুদ্ধের ঐদিন কি হয়েছিল শুনবি নাকি আয়। প্রাণ ভরা কন্ঠে জয় বাংলা বলে যখন ডেকেছিল তরুণরা তখনই হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে নিল তাদের প্রাণ। তবুও থামেনি জয় বাংলার মিছিল, চলেছে নয় মাস জয় বাংলার মিছিল। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফিরলো মায়ের ঘরে। কত মায়ের কোল খালি করে বীরের দল পাড়ি জমিয়েছে ওপারেতে। তবুও  তাদের বিনিময়ে পেয়েছি স্বপ্নের দেশ, বাংলাদেশ।   

যদি তোরা শুনতে চাস একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প, চলে আয় বীরদের গল্প শুনতে। বীরের মতো লড়েছে তারা ছিল না তাদের মৃত্যুর ভয় দেশের জন্য জীবন দিয়েছে ছিল না তাদের জীবনের কোন পরোয়া। কত মায়ের কোল খালি করে দিয়েছে এই স্বাধীন দেশ। 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা

এইতো সেদিন শত শত মানুষ হায় যশোর রোড যে এখনো কথা বলে। সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষের মিছিল, এক মানুষের হাহাকার যেন থামছে না কবে হবে এই দেশ স্বাধীন। ওরে তোরা থাম এবার পারছে না আর এদেশের কৃষক, জেলে শ্রমিক, ছাত্ররা। অগনিত নারী পুরুষ ও শিশুর প্রাণ এর বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ দেশ। যারা সাধারণ মানুষ মৃত্যুর ভয়ে করেনি দেশ ত্যাগ, অস্ত্র হাতে লড়েছে তারা পাখ হানাদারদের রুখতে। তারাই দিয়ে গেছেন মুক্তিযোদ্ধার চেতনার গান আর এদেশের স্বাধীনতা। 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কবিতা

স্বাধীনতা তুমি
শামসুর রহমান

স্বাধীনতা তুমি,

রবীন্দ্র ঠাকুরের অজর কবিতা অবিনাশী গান। 

স্বাধীনতা তুমি,

কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো;

মহাপুরুষ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা স্বাধীনতা তুমি। 

শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির,

উজ্জ্বল সভা স্বাধীনতা তুমি।

স্বাধীনতা তুমি,

পতাকা শোভিত স্লোগান মুখর ঝাঁঝালো মিছিল। 

ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি,

স্বাধীনতা তুমি, 

রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরের গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার;

মজুর জুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।

অন্ধকারের খাকা সীমান্তে মুক্তি সেনার চোখের ঝিলিক তুমি,

বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর। 

স্বাধীনতা তুমি,

শাণিত কথার ঝলসানি। 

চায়ের দোকানে আর মাঠের ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ, 

কালবৈশাখের দিগন্ত জোড়া মক্ত ঝাপটা। 

স্বাধীনতা তুমি,

পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। 

স্বাধীনতা তুমি,

বোনের হাতের নম্র পাতায়  মেহেদীর রং। 

স্বাধীনতা তুমি,

বাগানের ঘর, কোকিলের গান,

আর বয়সি বটের ঝিলমিল পাতা।  

হে কিশোর শোনো
মহাদেব সাহা

একদিন শোনো এই দেশটাতে দানবেরা দেয় হানা,

পুড়ে ছারখার মাঠের শস্য, মানুষের আস্তানা;

ভয় নিরবধীর রক্তে ভরা পুরো শহর।

ভয় নীরবধীর শকুনেরা মেলে ডানা,

শোন একদিন এই দেশটিতে মুক্তিযুদ্ধ হয়।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির ঘোঁচাবে দুঃখ ভয়।

এই দুটি হাত স্বাধীন অবাধ হয়ে ওঠে দুর্জয়,

“হে কিশোর শোনো”

সেদিন যুদ্ধ করেছে জয়,যুদ্ধ করেছে জয়। 

সর্বশেষ কথা

এই পোস্টটি যদি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি অবশ্যই ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন যাতে আপনার পরিচিত আশেপাশের লোকগুলো মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কিছু জানতে পারে। এই ধরনের আরো পোস্ট পেতে সাইটটিতে ভিজিট করুন।