আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে কারেন্ট নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ছন্দ, কবিতা ও কিছু কথা। তো আপনারা যারা কারেন্ট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ছন্দ ও কবিতাগুলো খুঁজছেন। আশা করি এই পোস্টের মধ্য থেকে অনেক নতুন নতুন কারেন্ট নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন সন্দেহ কবিতা খুঁজে পাবে। তো আশা করি যে এখান থেকে অনেক নতুন নতুন কারেন্ট নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ছন্দ ও কবিতা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী সংগ্রহ করে নিন কারেন্ট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন ছন্দ গুলো।
কারেন্ট নিয়ে উক্তি
♦ দিন যাচ্ছে আর প্রিয়জনের চেয়ে ইদানিং কারেন্টই বেশি জ্বালাচ্ছে।
♦ বর্তমানে গরম আসা মানেই হচ্ছে কারেন্টের সাথে লুকোচুরি খেলা।
♦ প্রিয়জনের কষ্টই ভুলতে পারলাম না, এরই মধ্যে আবার কারেন্টও কষ্ট দিচ্ছে।
♦ প্রসঙ্গ যখন কিছু চলে যাওয়ার, তাহলে কারেন্টই সবার সেরা।
♦ কারেন্ট নেই জেনেও ফোন চার্জে দেওয়ার মত সরলতা আর অন্য কোন কিছু হতে পারে না।
♦তোমার শহরে হয়তোবা লোডশেডিং বা কারেন্টের অভাব হতে পারে, কিন্তু আমার শহরে তো অক্সিজেনেরই হবে।
♦ জোনাকি গুলো জ্বলে দিচ্ছে আলো, কারেন্ট নেই পুরো শহর জুড়ে, অন্ধকার ব্যাকুলএ মন রয়েছে এমন নেশার ঘোরে।
♦ দিন শেষে যখন বাড়ি ফিরে দেখি নেই বাড়িতে কারেন্ট, তখন মনে হয় এর চেয়ে দুঃখের আর কোন কিছু হতে পারে না।
কারেন্ট নিয়ে ক্যাপশন
* তোমার শহরে শুধু কারেন্টের অভাব অক্সিজেনের নয়, কিন্তু আমার শহরে আজও লোডশেডিং এর মতো অক্সিজেনের অভাব।
* ভাই দয়া করে কারেন্ট টা দিয়ে দেন না এবার প্লিজ।
* এই গরমে আর পারছি না, একটু দয়া করুন না আপনারা লোডশেডিং টা বন্ধ করে।
* কারেন্ট হলো নারীর মতো কখন চলে যাবে কখন আসবে সেটা কারো বলার ক্ষমতা নেই।
* তোমার ওই ভাঙ্গা ঘরের চালের ফাঁকা জায়গা দিয়ে জোসনা রাতের আলো পড়ে, আর আমার ইট পাথরের ঘরে কারেন্ট চলে গেলে অক্সিজেনটাই পাওয়া অসম্ভব হয়ে যায়।
* গরম কেমন লাগছে বন্ধু, কারেন্ট তো ছোচা কুটুম, যখন ইচ্ছে সে যাচ্ছে, যখন ইচ্ছে আসছে।
* অন্ধকার তো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল, কারণ সারা জীবন তো কারেন্ট ছাড়াই থাকতে হবে পরপারে।
কারেন্ট নিয়ে ছন্দ
১. কারেন্ট যদি চলে যায় তাহলে আশা করা যায় যে আসবে, কিন্তু আসলে কখন যে চলে যায় সেটা বলা মুশকিল।
২. কারেন্টকে তো অনেক আগেই বিদায় জানিয়েছে, কারণ যে জীবনে কোন সুখ শান্তি নেই সেখানে কারেন্ট দিয়ে কি হবে।
৩. কিছু এমন বন্ধু আছে যারা সময় এর ব্যবধানে কারেন্টের মত আসবে যাবে।
৪. হায়রে গরম শরীরটা হল মোমের মত নরম, আর সেই গরমে কারেন্টের যা ধরন।
৫. তোমার হাত পাখার বাতাস যখন আমার গায়ে লাগে, তখন মনে হয় কারেন্টের কি দরকার।
৬. প্রসঙ্গ যখন চলে যাওয়ার, তখন তো আমাদেরও একদিন চলে যেতে হবে অন্ধকার ঐ কবরে। তাহলে তখন কারেন্ট ছাড়া থাকবো কি করে।
কারেন্ট নিয়ে স্ট্যাটাস
> এক সপ্তাহে ছয় দিন কারেন্ট অফিসে গালাগালি করি আর শুক্রবার হলে তওবা করি। এভাবেই চলছে জীবন।
> বর্তমান কারেন্টের এমনই অবস্থা যে, বেজে দেখলে যেমন সাপ গর্তে পালায় তেমনি মেঘের আবাস পেয়ে কারেন্ট যায় পালিয়ে।
> তখন তো ছিল না কারেন্ট, তখন তো ছিল না এতো সাজ-সজ্জা, তবে এখন কেন এত আয়োজন, কেন এত ভালোবাসা।
> এই ঘনঘটা কুয়াশায় শীতের রাতে কারেন্ট যাক না চলে, তুমি আর আমি মিলেমিশে একই কম্বলের নিচে।
> কারেন্ট যাওয়াতে শুধু আমাদের সাধারণ মানুষের সমস্যা হয় না, সমস্যা হয় এ দেশের, এদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের, বিভিন্ন অফিস আদালতের।
> ছিল না তো তখন কারেন্ট, ছিল হারিকেন আর তালের পাতার পাখনা, তবে এখন কেন এত আরাম কারেন্ট গেলেই কেন মাথাব্যথা।
> ছিলনা যখন কারেন্ট তখন দেশটা ছিল আনন্দের, যখন আসলো ঘরে সবার কারেন্ট তখনই হলো সবার দুর্দশা।
কারেন্ট নিয়ে কবিতা
এত গরম কেন
উর্মি মিথিলা
সূর্য মামা রাগ করেছে,
গরম দিচ্ছে তাই;
বৃষ্টি আপুর বিয়ে হয়েছে,
তাই তো বৃষ্টি আপুও নাই।
বাতাস বাবুর জ্বর হয়েছে,
ওষুধ আনতে গেছে।
মেঘ নাকি দাওয়াত খেতে,
তার শশুর বাড়ি গেছে।
কারেন্ট ভাই ও নাকি,
তার নিজের বাড়ি ছেড়ে;
শ্বশুরবাড়ি ঘর জামাই হিসেবে গেছে।
সেখানে গিয়ে শুনে শুধু খোটা,
আর করে দৌড়াদৌড়ি;
তাইতো এতো বারে বারে,
কারেন্ট ভাই যায় আর আসে।
শেষ কথা
বর্তমানে যে কারেন্ট এর সমস্যা সেটা আসলে সারাদেশেই চলছে। তো আপনারা যদি কোন ফেসবুক স্ট্যাটাস বা ইনস্টাগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপ এ কোন স্ট্যাটাস দিতে চান তাহলে আশা করি যে এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়ে থাকলে এখান থেকে কিছু নতুন নতুন স্ট্যাটাস ক্যাপশন ছন্দ কবিতা খুঁজে পেয়েছেন। তো এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।