একুশের সেরা কবিতা ও কিছু কথা

একুশের এই বাংলা ভাষার কবিতা ভাষা আন্দোলনের সময় থেকেই লেখা শুরু হয়। এই কবিতাগুলো অনেকে আছেন যারা খুঁজে থাকেন ফেসবুক স্ট্যাটাস এর জন্য। তাদের জন্য একুশের কিছু সেরা কবিতা গুলো নিয়ে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে আশা করি ভালো লাগবে। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নিন একুশের সেরা কবিতাগুলো এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করে নিন কবিতা গুলো। 

একুশের সেরা কবিতা

 একুশের কবিতা

  আল মাহমুদ

  ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখ দুপুর বেলার অন্ত, 

বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায় জব্বার, বরকতের রক্ত।

 হাজার যুগের সূর্য তাপে জ্বলবে এমন লাল যে,

সেই লোহিত এই লাল হয়েছে কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে। 

   প্রভাত ফেরির মিছিল যাবে,

ছড়াও ফুলের বন্যা বিষাদ গীতি;

গাইছে পথে তিতুমীরের কন্যা। 

   চিনতে নাকি সোনার ছেলে ক্ষুদিরামকে চিনতে,

রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিল যে মুক্ত বাতাস কিনতে। 

  পাহাড়তলীর মরণ চূড়ায় ঝাপ দিলো যে অগ্নি, 

ফেব্রুয়ারির শোকের বসন পারল তারি ভগ্নি

  প্রভাত ফেরী প্রভাত ফেরী,

আমায় নেবে সঙ্গে ? 

বাংলা আমার বচন আমি জন্মেছি এই বঙ্গে।

 নাও না আমায় তোমার নাউয়ে,

যাব আমি ওপারেতে।

  আমার দুঃখিনী বর্ণমালা 

  কবি শামসুর রহমান

যুদ্ধের আগুনে, মারির তাণ্ডবে। 

প্রবল বর্ষায়, কি অনাবৃষ্টিতে,

বারবনিতার নুপুর নিক্কনে,

বারবনিতার শান্ত বাহুর বন্ধনে। 

ঘৃণায় ধিক্কারে, নৈরাজ্যের এলো,  

দাবারি চিত্তকারে সৃষ্টির ফাল্গুনে। 

বুকে নিয়ে আসো সগৌরবে মহীয়সী। 

কত নোংরা হাতের হিংস্রতা ধেয়ে আসে,

তোমার উপর বেয়ে, আর কত সহ্য করিবে। 

মায়ের কোল খালি করে, তোরা কি পাস লাভ। 

বঙ্গভূমি ও বঙ্গভাষা

  কায়কোবাদ

বাংলা আমার মাতৃভাষা, বাংলা আমার জন্মভূমি। 

গঙ্গা পদ্মা যাচ্ছে বয়ে, যাহার চরণ তুমি । 

ব্রক্ষপুত্র গেয়ে বেড়ায়, যাহার পূণ্য গাথা ! 

সেই সে আমার জন্মভূমি, সেই সে আমার মাথা।

আমার মায়ের সবুজ আঁচল, মাঠে খেলায়চল। 

আমার মায়ের ফুল বাগানে ফুটছে কতই ফুল!

শত শত কবি যাহার গেয়ে গেছে গান,

সেই সে আমার জন্মভূমি, সে সে আমার মাথা। 

আমার মায়ের গোলা ছিল ধন ধান্যে ভরা ? 

ছিল না তার অভাব কিছু, সুখে ছিলাম মোরা। 

বাংলা মায়ের স্নিগ্ধ কূলে, ঘুমিয়ে রবো আমি। 

সেই সে বাংলার মাতৃভাষা, সেই সে বাংলার জন্য জন্মভূমি।

 কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প

 রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

তার চোখ বাধা হলো,

বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ,

থেতলানো ঠোঁট জোড়া লাল রক্তে একাকার হলো। 

জিভে নড়াতেই পুড়ে গেলো দুটো দাঁত মাগো বলে চেঁচে উঠল সে। 

পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ খাওয়া একটা সিগারেট,

প্রথম স্পর্শ করলো তার বুক। 

পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল ঘরের বাতাসে,

তার দেহে টসটসে আঙ্গুরের মতো ফোসকা ফুলতে লাগলো। 

মাগো বলে কাঁদছে ছেলেটি, মা যেন তার পাশেই। 

মায়ের বুক খালি করে নিলি ওদের কেরে,

 তোরা যেন মানুষ না পশুর চেয়েও অধম। 

সর্বশেষ কথাঃ 

একুশে ফেব্রুয়ারির যে কবিতাগুলো এই পোষ্টের মাধ্যমে লেখ করা হয়েছে যদি আপনারা পড়ে থাকেন আশা করি অবশ্যই ভালো লাগবে। আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম আরো পোস্ট পেতে এই সাইটটিতে ভিজিট করুন আশা করি এরকম আরো অনেক ভালো ভালো পোস্ট পেয়ে যাবেন।